শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২১
নওগাঁর মান্দায় চাঁদাবাজির অভিযোগে নামধারী চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী একব্যক্তি। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাদির অভিযোগ, মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
মামলার আসামিরা হলেন, সকালের সময় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বুলবুল আহমেদ, বাংলাদেশের আলোর রায়হান আলী, শ্যামবাজার ও বিশ্ব মানচিত্রের ফজলুল করিম সবুজ ও দৈনিক যুগান্তর থেকে অব্যাহতি দেওয়া আব্বাস আলী। মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি নুরুজামান রিপন উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সূর্যনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তাঁর ছোটভাই নাজমুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে সদলপুর এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২৫ জুন নাজমুল হক মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৭ জুন মেয়েকে উদ্ধার করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন নাজমুল হকের পরিবার। এনিয়ে ওই রাতে সমঝোতা বৈঠকে ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উভয় পরিবার।
মামলার বাদি নুরুজ্জামান রিপন জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ ও রায়হান আলী মেয়ের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ জুন তাঁদের বাড়িতে আসেন। সাংবাদিকরা দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা, পুলিশে ধরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মানসম্মানের ভয়ে এসময় তাঁদের হাতে ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ৭৮ হাজার টাকা দুইদিনের মধ্যে প্রদানের দাবি জানিয়ে চলে যান সাংবাদিকরা।
বাদি অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ জুন সাংবাদিক আব্বাস আলীর সহযোগিতায় একই দাবিতে মামলার আসামি রায়হান আলী ও ফজলুল করিম সবুজ তাঁদের বাড়িতে এসে আবারও ৭৮ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে সম্মানহানী ও পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে চলে যান।
বিষয়টি নিয়ে মান্দা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে। পরে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। পরবর্তীতে আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চালু হলে উল্লেখিত চার আসামির বিরুদ্ধে নওগাঁ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এ গত ১৮ জুলাই মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নওগাঁ পিবিআই এর উপপরিদর্শক বাবুল আক্তার বলেন, মামলার তদন্তকাজ চলছে। আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আগে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়