শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮
নওগাঁ-৪
মান্দার সিংগী এলাকায় ৮ কিলোমিটার বিএমডিএর খাল খনন;
দূর হয়েছে সাড়ে সাত হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সারা দেশের কৃষি ক্ষেত্রের যুগান্তকারী উন্নয়নের সাথে যুক্ত হয়েছে নওগাঁর কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন। এর ধারাবাহিকতায় নওগাঁর মান্দায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খনন করা হয়েছে খাল। এতে দুর হয়েছে সাড়ে সাত হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা। ওইসব জমিতে এখন প্রতিবছর তিনটি করে ফসল উৎপাদন করছে কৃষকরা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত রোধে রোপণ করা হয়েছে খালের দুইধারে প্রায় ২০ হাজার তালের বীজ। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে খালটি খনন করা হয়েছে বলে জানান বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও জলাবদ্ধতা দুরীকরণ প্রকল্পের আওতায় গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার এলেঙ্গা সুইস গেট থেকে পলাশবাড়ী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালটি খনন করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। খালটি খননের ফলে উপজেলার নাপিতপাড়া বিলের জলাবদ্ধতা দুরীকরণ হয়েছে। তিন ফসলের আওতায় এসেছে ওই বিলের প্রায় সাড়ে ৭ সাত হাজার বিঘা জমি।
আরো জানা যায়, নাপিতপাড়া বিলসহ আশপাশের আরো কয়েকটি বিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানিতে বিলগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হত। খালটি খননের ফলে জলাবদ্ধতা দুরীকরণসহ ২ হাজার হেক্টর জমির ভূ-উপরিস্থ সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এতে করে উপকৃত হচ্ছে অন্তত ১০ হাজার কৃষক পরিবার।
নাপিতপাড়া গ্রামের ওয়াহিদ আলী, আবদুস সোবহান, মোজাম্মেল হকসহ আরো জানান, আগে বিলের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সারাবছর ধরে বিলে পানি জমে থাকত। বোরো মৌসুমে প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যদিয়ে ধান চাষ করত এলাকার কৃষক। বর্তমানে খালটি খননের ফলে বিলের জলাবদ্ধতা দুর হয়েছে। যার ফলে প্রতিবছর তিনটি করে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছে এলাকার কৃষকরা।
উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, এলাকার জলাবদ্ধতা দুরসহ ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে খালটি খনন করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে খালের জমাকৃত পানিতে সেচের আওতায় এসেছে ২ হাজার হেক্টর জমি। বোরো মওসুমে ওইসব এলাকার কৃষকদের আর ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এতে ফসল উৎপাদনে তাদের ব্যয়ও অনেক কমে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, খননকৃত খালের দুইধারে রোপণ করা হয়েছে ২০ হাজার তালের বীজ। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। অন্যদিকে বজ্রপাতে প্রাণহানীর প্রবণতাও কমবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়