শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৯
নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটে নদীর বুকে জলধারায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন (খননযন্ত্র) বসিয়ে বেপরোয়া বালু উত্তোলন রোধে বৃহস্পতিবার ১২টায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটে নদীর পশ্চিম পারের বেড়ি বাঁধ ৫ শত মিটার সিসি ব্লক দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে একই স্থান থেকে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের কারণে সিসি ব্লক দেবে গিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। আবারও মহিষবাথান ঘাটে পুরানো ড্রেজার মেশিনের সাথে আরও নতুন নতুন ড্রেজার সংযুক্ত করেছে বালু উত্তোলনকারীরা। এ অবস্থায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম নদী ভরে গেলে বাঁধ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগকারী আব্দুল মতিন ও এমদাদুল বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী। তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না। যেভাবে বালু তুলছে এটা অব্যাহত থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
নদী পারের এক গৃহবধু জানান, সারা বছর বালু উত্তোলন করার ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভরে যাওয়ার পর যখন নদীর পানি কমে যায় তখন বাঁধের সিসি ব্লব ধসে পড়ে।
তিনি আরো জানান, বালু আনা নেয়ার জন্য ট্রাক্টর ব্যবহার করছে বালু ব্যবসায়িরা। এসব ট্রাক্টর গ্রামের রাস্তা-ঘাটের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। বালু বহনকারী ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচলে ধুলো-বালি উড়ে রাস্তার দু-পার্শ্বের বাড়ি ঘর বসবাসের অযোগ্য ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী মুয়াজ্জিম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, অনেক টাকা দিয়ে বালুমহল লিজ নিয়েছি। আমি নীতিমালা অনুসরণ করে বালু তুলছি।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেশের বাহিরে থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা খাতুন বলেন, এখন জুন মাস অফিসিয়াল অনেক কাজের চাপ তারপরেও আমি খুব শীঘ্রই বিষয়টির উপর জরুরী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়