বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মহাদেবপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের আত্রাই বেইলি সেতু থেকে নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলা সদর থেকে ছাতড়া বিলের কাঞ্চন ঘাট পর্যন্ত সড়কটির ১২ কিলোমিটার অংশ মহাদেবপুরে পড়েছে এবং বাঁকি মাত্র এক কিলোমিটার অংশ নিয়ামতপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে। ২০০৪ সালে সড়কটির মহাদেবপুর অংশ কার্পেটিং করা হয়। এরপর ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে সড়কটি সংস্কার করা হয়। এরপর গত ৯ বছরে সড়কটি আর সংস্কার করা হয়নি।
এলাকার ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটির মহাদেবপুর অংশের পুরো ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ও খাজুর ইউনিয়ন, নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর, ভাবিচা ও হাজিনগর এবং মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কের অসংখ্য স্থানে পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাদেপুর-ছাতড়া সড়কের শিবগঞ্জ ঘাট, বাগডোব, চান্দাশ, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পিচ-খোয়া উঠে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কের জায়গায় জায়গায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাদা-পানি একাকার হয়ে রয়েছে। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে উঠছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাপড় নোংরা হতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বেহাল থাকলেও তা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অথচ সড়ক দিয়ে নওগাঁ জেলা শহর ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে।’
ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি চালিত চার্জার ভ্যান চালক খবির উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে গিয়ে দুই-এক দিন পরপরেই নাটবল্টু নড়বড়ে হয়ে যায়। অনেক সময় নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। ফলে সারাদিন ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় শক্তি ক্ষয় করে যে রোজগার করি, তার একটা অংশ ভ্যান মেরামত করতেই শেষ হয়ে যায়। ভ্যান চালিয়ে এক ঘন্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা।’
নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেন, একদিকে ধুলাবালু, অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদাপানি একাকার হয়ে যায়। সড়কটির কারণে এলাকাবাসী চরম বিপদে রয়েছে। কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে জেলা শহর ও মহাদেবপুর উপজেলা সদরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে
মহাদেবপুর এলজিইডি প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়