বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দল ও পরিবারের নিদারুণ ব্যর্থতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আশাহত হয়ে সব শর্ত মেনে নিয়ে প্যারোলের সিদ্ধান্ত নিলেও হঠাৎ তা পাল্টানোর কথা ভাবছেন। আর এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, ড্যাব নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন, লন্ডন যাওয়ার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই। বরং দেশে থাকলেই তিনি নিজের যত্ন ও দল পুনর্গঠনে মনোযোগী হতে পারবেন। ড্যাব নেতাদের এমন আশ্বাসে বিএনপি চেয়ারপারসন ভোল পাল্টে এখন বলছেন, লন্ডনে না যাওয়াই মঙ্গল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দল, পরিবার ও আইনজীবীদের লাগামহীন অনাগ্রহে খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নেন হাসিমুখে সব স্বীকার করে সমঝোতা বা প্যারোলের। যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন লন্ডনে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তিনি ভোল পাল্টেছেন। এখন বলছেন, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতাকর্মী ও দলীয় কিছু ব্যবসায়িক নেতারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন, দেশের অন্যতম সর্বাধুনিক হাসপাতাল ও তার পছন্দের চিকিৎসালয় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। এ কারণে বিএনপি নেত্রী অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া লন্ডনে যেতে চান না পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা সংক্রান্ত ব্যাপারে। কারণ তারেক রহমানের সঙ্গে তার ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির দ্বন্দ্ব রয়েছে। সিঁথি চান তার শাশুড়ির মুক্তি হোক, কিন্তু তারেক সেটি চান না। অপরদিকে, রয়েছে পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে তুমুল বিরোধ। তারেক সব সময়ই বলে আসছেন, তার পরিবার বড়। তাই সম্পত্তির ভাগেও তার প্রাপ্তি বেশি। এসমস্ত কারণ বিবেচনা করে খালেদা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সেখানে গেলে তার চিকিৎসা তো দূরের কথা-মানসিক শান্তিই কর্পূরের মত উড়ে যাবে।
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দেশ ছাড়া। একই অভিযোগে তার দলীয় চেয়ারপারসনও কারান্তরীণ। তাই প্যারোলে মুক্তি নিয়ে এমতাবস্থায় খালেদা জিয়া তারেকের কাছে লন্ডনে চলে গেলে বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাসিত হয়ে যাবে। দেখা দেবে কোন্দল, ভাঙন। এমনকি ঠুনকো কারণেই বিভক্তি সৃষ্টি হয়ে বিএনপি পরিণত হবে বিভিন্ন উপদলে। তাই খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে দেশত্যাগ না করাই শ্রেয় হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে চাঁদাবাজির দোকান খোলা। তারেক রহমানের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপিপন্থীরা উন্মুক্ত করেছেন www.khaledakebachao.com নামে একটি ওয়েবসাইট। যার মাধ্যমে চলছে লাগামহীন চাঁদাবাজি। এর সঙ্গে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সিনেটর এবং সেখানে বসবাসরত বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়াও তারেক রহমান বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে তার মায়ের উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির ইস্যুকে ক্যাশ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা। যার পুরোটাই ব্যয় হচ্ছে তার আয়েশি জীবন যাপনে।
বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী মহল ও ড্যাব নেতারা বলছেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় তারাই বহন করবেন। তবে শর্ত একটাই প্যারোল নিয়ে দেশ ত্যাগ করা যাবেনা। কারণ তার দেশ ত্যাগ মানেই ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে যাওয়া। তাই কারো দয়া বা অনুদান নয়-তিনি তাদের অর্থায়নেই খালেদার পছন্দসই চিকিৎসালয় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেবেন, যাতে তিনি দেশে থেকে দলের দেখভাল করতে পারেন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়