শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০
দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের মামলায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমসহ নয়জনকে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমকে একবছরের কারাদন্ড ও অপর আট আসামিকে তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার বিকেল নওগাঁর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এরবিচারক সাইফুল ইসলাম এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দিলীপ কুমার সাহা নামে ব্যক্তি ২০১৭ সালে কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী হাটে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ইজারাদারের লোকজন গবাদিপশু কেনা-বেচায় অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাজে অভিযোগ করেন। অভিযোগ করায় ওই বছরের ৩০ আগস্ট মহাদেবপুর উপজেলার তৎকালীন উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয়জনকে জরিমানা করেন।
এ ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টম্বর ফুটবল খেলার মাঠে রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম দলবল নিয়ে দিলীপ কুমারের ওপর হামলা চালায় এবং মাতাজী হাটে অবস্থিত দিলীপ কুমারের মালিকানাধীন শুভজিৎ হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানঘরে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে চেয়ারম্যানের লোকজন।
এ ঘটনায় ওই দিনই মহাদেবপুর থানায় চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দিলীপ কুমার। পুলিশি তদন্তে শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানির পর গত মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁরজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড, তাঁর তিন সহোদর সুলতান মাহমুদ, বদিউল আলম, শাহ আলমসহ মামলার অপর আটআসামিকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর আসামিরা আদালতেজামিন আবেদন করলে চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম ছাড়া অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। মঞ্জুর আলমকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুসসামাদ ও মোকসেদ আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোফাখখার ইসলাম।
এমএমআই
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়