শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০
নতুন করে দেশের আর কোনো জেলা যেন করেনাভাইরাসে সংক্রমিত না হয় সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার (১২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬ জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসকে আমরা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিলাম। কিন্তু অনেকেই কথা শুনতে চান না, না শুনেই তারা মানুষের সঙ্গে মেশেন। যার ফলে এটা সংক্রমিত এবং এখন অনেকগুলো জেলায়ও কিন্তু সংক্রমিত হয়েছে। কাজেই নতুন করে আর যেনো কোনো জেলা সংক্রমিত না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সে জন্য পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ রেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে অনুরোধ করবো প্রত্যেকে অন্তত মুখে মাস্ক ব্যবহার করবেন। কারণ এটা ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। কাজেই সবাই যদি কর্মস্থলে যাওয়ার সময় মাস্কটা ব্যবহার করেন তবে নিজেকে সুরক্ষা করা যাবে। আর অযথা হাত না ধুয়ে চোখে মুখে দিবেন না। হাঁচি-কাশি আসলে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করেন অথবা কুনুই দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
তিনি বলেন, আমরা গত ২৫ মার্চ থেকেই সবকিছু বন্ধ করা শুরু করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও আগে… অর্থাৎ যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে তখন সেটাই বন্ধ করেছি। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর জন্য আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, কালকে যেহেতু আমাদের নববর্ষ। বাইরে জনসমাগম করে নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। সব অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, আপনারা ঘরে থাকুন। নিজেদের পরিবার নিয়ে উৎসব করুন। কিন্তু কোনোমতেই লোকসমাগম করবেন না। লোকসমাগমের কারণেই কিন্তু এটা সংক্রমিত হচ্ছে। কাজেই এটা যদি আর না বাড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সে জন্য পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে নিজেরা নিজেরা এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন।
সরকারপ্রধান বলেন, অদৃশ্য শক্তির মত করোনাভাইরাস আমাদের ভেতরে হানা দিয়েছে। এ ভাইরাস শুধু একটি দেশ নয়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে। এক লাখ তিন হাজারের মতো মানুষ ইতিমধ্যে মারা গেছেন এবং লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন উন্নত দেশ এটা মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। সেসব দেশে হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। কনফারেন্সটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এর আগে গত রোববার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়