শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৯
নওগাঁর বদলগাছীতে নদীর চরে বীজ বাদাম চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন কয়েকজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসী পরিবার।
জানা যায়, রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্র্তপক্ষ(বিএমডিএ) এর চেয়ারম্যান ড. আকরামহোসেন চৌধুরী বীজ বাদাম চাষীদের মাঝে বীজ ও সহযোগিতা দিয়ে আদিবাসী পরিবারদের উদ্বুদ্ধ করছেন । বীজ বাদাম একটি উন্নত প্রজাতির বাদাম। এ বাদাম চাষ হয় বার্মা ওমালয়েশিয়ায়। বিএমডিএ চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে এই চাষীদের মাঝে বিতরণ করেন।
প্রথম পর্যায়ে উপজেলার সদর ইউপির দাউদপুর গ্রামে ছোটযমুনা নদীর চরে ৬বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক বীজ বাদাম চাষ করা হয়। তার পাশে কিছু জমিতে বারি-৮ ও ৯ জাতের দেশীয় প্রজাতির বাদাম চাষ করা হয়। দেশীয় প্রজাতীর বাদামের তুলনায় বীজ বাদামের চারা গজিয়েছে মানসম্মতভাবে প্রচুর। বাদামের চারা দেখলেই যেন মন ভরে ওঠে।
দাউদপুর গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষিত বিজয় পাহানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক নদীর চরে তিন বিঘা জমিতে বীজ বাদাম চাষ করেছে। এছাড়া ঐ গ্রামে আনোয়ার, উজ্জ্বল, জালাল, এরশাদ, মনোয়ার তারাও তিন বিঘাজমিতে এই বীজ বাদাম চাষ করেছে। চাষীরা বীজ বাদাম চাষ করেঅনেক লাভবান হবে এমনটাই আশাবাদী। বীজ বাদামের এক একটি ফলে চারটি করে ফল থাকে। দেখতেও সাইজে বড়। এ বাদামে ঠোসা পড়ে কম। দেশী বাদামের তুলনায় এর দাম দ্বিগুনেরও বেশি। বর্তমান বাজার মূল্য দেশী কাঁচা বাদাম ১১০টাকা কেজি এবং বীজ বাদাম ২৬০/২৬৫টাকা কেজি।
এক বিঘা জমিতে বীজ বাদাম শুকিয়ে ৮/১০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। প্রতি মণ বিক্রি হবে ১০ হাজার বা তার বেশি টাকায়। একবিঘা জমি চাষ করলে সর্বোচ্চ খরচ হবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এই বীজবাদামে প্রচুর রয়েছে প্রোটিন যা মানব স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। সেমাই, পোলাও, কোর্মা, সুজিসহ বিভিন্নসুস্বাদু খাবার তৈরিতে বীজ বাদাম ব্যবহার করা হয়।
নদীর চরের বীজ বাদাম ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন রাজশাহী বরেন্দ্রবহুমূখী উন্নয়ন কর্র্তপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চেীধুরী তিনি বাদাম ক্ষেত দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশদেশের কোনো স্থানেই যেন একখ- জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে।সব জায়গাতেই যেন চাষাবাদের ব্যবস্থা করা হয়। তার এইনির্দেশনা মোতাবেক বদলগাছীতে নদীর চড়ে বীজ বাদাম চাষকরা হয়েছে।
এ বাদাম সাধারণত ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও এপ্রিল মাসে চাষ করা হয়ে থাকে। বাদাম উত্তোলণ হলে বীজ হিসাবে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্র্তপক্ষ এই চাষীদের নায্যমূল্য দিয়ে কিনে নিবে এবং পরবর্তীতে পদ্মা নদীর চড়সহ উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন চড় এলাকায় এ বাদাম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। আর এতে করে চাষীরা হবেন লাভবান।
পরিদর্শনে বিএমডিএ এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন বিএমডিএ এর গবেষক সোহেল আহম্মেদ ও ইসলামি ব্যাংক এর ম্যানেজার মামুনুর রশিদ প্রমূখ।
স/শাহা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়