শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২১
করোনা মহামারীর কারণে এক বছর ৪ মাস থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোও রয়েছে বন্ধ। তাই বাধ্য হয়েই প্রিয় বিদ্যাপীঠ ছেড়ে বাড়িতে এসে থাকতে হচ্ছে সব শিক্ষার্থীদের।
এ কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই শুয়ে-বসে অথবা বই পড়ে সময় কাটাচ্ছে। লকডাউনের এই অবসর সময়টাকে নষ্ট না করে স্বপ্নের গরুর খামার গড়ে তুলেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম জিহান।
সে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির আরজি পাঁচঘড়িয়া গ্রামের সাহাবুল আলমের ছেলে। তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবম সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। পড়াশুনা শেষে এক জন সফল উদ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠার বন্ধ থাকায় পড়াশুনা শেষ করার আগেই সেই স্বপ্নের সিঁড়িতে সফলতা অর্জন করেছেন জিহান।
জানাযায়, করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে চলে আসেন জিহান। গ্রামের বাড়িতে তার সবসময় দু-একটা গরু থাকেই।
এই গরুগুলো লালন-পালন করতে করতে বড় একটি গরুর খামার করার সাধ জাগে তার। যে কথা সেই কাজ। বাবা সাহাবুল আলমের সাথে পরামর্শ করে শুরু করেন খামার তৈরীর কাজ। বড় আকারের ২০টি গরু রাখার মতো একটি সেড নির্মাণ করেন তিনি। খামারটির নাম দেন জিহান ডেইরি ফার্ম।
এই জিহান ডেইরি ফার্মে বর্তমানে ১৮ টি গরু আছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি গাভী, দেশি ষাঁড় ও ইন্ডিয়ান বলদ মিলে রয়েছে আরো ১৫টি গরু। ৩টি গাভি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ লিটার দুধ পান তিনি।
কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ছয় মাস ও এক বছর আগে কিনেছিলেন বলদ ও ষাঁড়গুলো। এবার ঈদে বিক্রয় গরু রয়েছে তার ১৫ টি। গরুগুলো কিনতে ও লালনপালন করতে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। গরুগুলো বিক্রয় করার ইচ্ছে আছে ৪০ লাখ টাকায়।
কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে গরুগুলোর ভালো দাম দিয়ে বিক্রয় করা নিয়ে আছেন ভীষণ শঙ্কায়।
হাসিবুল ইসলাম জিহান বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি স্বপ্ন দেখতাম একজন সফল উদ্যেক্তা হওয়ার শখ ছিল গরুর ফার্ম করার। পড়াশুনা শেষ করেই শুরু করতাম এই কাজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ভাবলাম বসে না থেকে এখন থেকেই শুরু করি। বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে শুরু করেছি এই জিহান ডেইরি ফার্ম। বর্তমানে আমার ফার্মে ১৮ টি গরু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই ফার্মকে আরো বড় করার ইচ্ছে আছে। আগামী বছর ৫০ থেকে ৬০ টি গরুর প্রজেক্ট করবো। এখন আমার এই ডেইরি ফার্মে দুইজন লোক কাজ করে। খামার বড় হলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে পাশাপাশি অনেক লোকের এখানে কর্মসংস্থানও হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়