বঙ্গবন্ধুর সমান উচ্চতার নেতা বিশ্বে বিরল
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৫৯ সালে। এর কয়েক বছর আগে বার-অ্যাট-ল শেষ করে আমি বিলাত থেকে দেশে ফিরেছিলাম। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সাহেবের বাসায় তিনি যেতেন। সেখানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবও যেতেন। বিমানবন্দরে সোহরাওয়ার্দী সাহেব এলে সেখানেও মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হতো। একসঙ্গে ওখান থেকে আবার মানিক মিয়া সাহেবের বাসায় যেতাম। এভাবেই আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ শুরু হলো। সেখানে মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কথা হতো। ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে তাঁর ইমেজ তৈরি হয়ে গেছে। একদিন মুজিব ভাইকে বললাম, ‘আপনার কথা দেশে-বিদেশে অনেক শুনেছি। আপনি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন সাহসের সঙ্গে করছেন।’ এভাবে যেতে যেতে একসময় সম্পর্ক তৈরি হলো। আমি ছিলাম সোহরাওয়ার্দী সাহেবের ভক্ত আর বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মী ছিলেন। এভাবেই ভক্ত আর কর্মীর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হলো।
বঙ্গবন্ধুর অন্যতম গুণ ছিল তাঁর অদম্য সাহস। বাঙালির অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলতেন শক্তভাবে এবং প্রচণ্ড ঝুঁকিও নিতেন। তাঁর সমান সাংগঠনিক দক্ষতা আজকের রাজনৈতিক ইতিহাসেও বিরল। তাঁকে কারাগারে নেওয়া হতো। কিন্তু কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি কখনো বাসায় বসে থাকতেন না। পরের দিন আবার রাস্তায় বেরিয়ে যেতেন। আইনজীবী হিসেবে আমি তখন তত সিনিয়র ছিলাম না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দু-একটি মামলায় সম্ভবত কিছুটা ভূমিকা রাখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এককথায় অসাধারণ। পরকে আপন করার ওই রকম গুণাবলি আজ পর্যন্ত কারো মধ্যে দেখিনি। কর্মী বা পরিচিতজনদের সঙ্গে তিনি কথা বলতেন আত্মীয়ের মতো। সম্পর্ক তিনি এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতেন যে তাঁর জন্য অনেক লোক জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। জনগণের ওপর আস্থা রেখেই তিনি চলতেন। টাকা-পয়সা কিংবা ধর্মকে ব্যবহার করে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন না। প্রতিক্রিয়াশীল ধারা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে এ দেশকে তিনিই বের করে আনেন।
আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিক যোগদানের সময়টা হুবহু আমার মনে নেই। তবে অবশ্যই ১৯৫৯ সালের পরে প্রাথমিক সদস্য পদ পেয়েছি, এটা বলা যায়।
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বটাই এমন ছিল যে তিনি মানুষকে কাছে টানতে পারতেন। তাঁর বৈশিষ্ট্য হলো সব মানুষকেই তিনি সম্মান এবং গুরুত্ব দিতেন। সেই তরুণ বয়সে দেখতাম, সব মানুষের কথা তিনি আগ্রহভরে শুনে বোঝার চেষ্টা করতেন এবং সম্ভব হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সেটাকে তিনি কাজে লাগাতেন। বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে খুব সহজে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতেন। তিনি অনেক বড় নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পাশের লোককে কখনো সেটা অনুভব করতে দিতেন না।
বিশ্বনেতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম চির অম্লান থাকবে। তাঁর সমান উচ্চতার নেতা বিশ্বে এখন তো বিরল বটেই, এমনকি তাঁর সমকালীন বিশ্বে হয়তো বা দু-একজন ছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে সংবিধান কমিটির চেয়ারম্যান করার কথা বঙ্গবন্ধুই ডেকে আমাকে বললেন। তবে ফরেন মিনিস্টার করবেন—এ কথা আমায় খোলাখুলি আগে বলেননি। তবে আমি বুঝতে পারছিলাম, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন, সহজে মুক্তি দেবেন না। অবশ্য সংবিধান প্রণয়নের পর মনে করলাম, আমার কাজ শেষ। এখন আমি মুক্ত। তখন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ হেসে বললেন, আপনি তো মুক্ত হবেন না!
আওয়ামী লীগের তৎকালীন সিনিয়র নেতাদের দু-একজন আমার কাছে জানতে চাইলেন, আমি কোন মন্ত্রণালয় চাই। আমি বললাম, আমি তো কোনোটাই হতে চাই না। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনের পর তাজউদ্দীন ভাই বেরিয়ে প্রথমে আমাকে অভিনন্দন জানালেন। বললেন, ‘কনগ্রাচুলেশনস ফরেন মিনিস্টার।’ পরে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘তোমাকে দায়িত্ব দিলাম। সদ্যঃস্বাধীন দেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ তখন প্রায় সবার চেয়ে আমি জুনিয়র ছিলাম। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আমাকে ফরেন মিনিস্টার করলেন বঙ্গবন্ধু। তখন বুঝতে পারলাম, বঙ্গবন্ধু আমাকে অনেক স্নেহ করেন। এটা অবশ্যই আমার ভাগ্যের ব্যাপার। অথচ আমি বঙ্গবন্ধুর খুব বেশিদিনের নয়, অল্প কয়েক দিনের কর্মী ছিলাম। তার পরও তিনি ভালো কাজের মূল্যায়ন করলেন। সম্ভবত সংবিধান প্রণয়নের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু খুশি হয়েছিলেন। অবশ্য কাজটাও আমি বেশ গুছিয়ে করেছিলাম।
বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, বাঙালিরা দলাদলি করলে পাকিস্তানিরা সুযোগ নেবে। একদিন একান্তে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা মনে করে, আমরা বাঙালিরা কোনো দিন দাঁড়াতে পারব না। কারণ আমরা খুব দলাদলি পছন্দ করি এবং একে অন্যকে সহ্য করি না।’ উনি তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে সব সময় মনোযোগী ছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছিলেন। এটা একদিন আমি তাঁকে বলেছিলাম।
ফরেন মিনিস্টার হিসেবে একসঙ্গে বহুবার বিদেশে ভ্রমণ করেছি; সেটা আমার জীবনের অনেক আনন্দের বিষয়। মন্ত্রিসভায় অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ার পরও তিনি আমায় সব সময় কাছে ডেকে নিতেন। মিটিং বা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বক্তৃতার সময় আইনের বিষয় থাকলে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘তুমি আমার কাছে থাকো।’
বঙ্গবন্ধু সঠিক লোককে সঠিক মূল্যায়ন করে সঠিক জায়গায় বসাতে পারতেন বলেই বিশ্বনেতা হতে পেরেছিলেন। অনেক কম বয়সে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব এবং ফরেন মিনিস্টারের দায়িত্ব তিনি আমায় দিয়েছিলেন।
দুঃখের কথা, আমাদের হাতে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংস করলাম। ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনার সময় আমি সম্ভবত যুগোস্লাভিয়ায় ছিলাম। খবর শুনে মনে হলো, পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে গেল! আমাদের সব রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গেল! তাঁর নেতৃত্বের শূন্যতা আজও পূরণ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঙালি জাতির জন্য আর কেউ রাস্তায় নামবেন না। এখনকার বিশ্বে ওই উচ্চতার নেতা কল্পনাও করা যায় না।
অবশ্য বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, ‘দেখো, আমি বিশ্বাস করি, মানুষের মৃত্যু নির্দিষ্ট কোন দিনে, সেটি লেখা থাকে। এর এক দিন আগেও হবে না, এক দিন পরেও হবে না।’ সে কারণে তিনি ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যেতেন। সম্ভবত এ কারণেই যুদ্ধ শুরু হলেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি।
অনুলিখন : এনাম আবেদিন
নওগাঁ দর্পন- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- বদলগাছীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
- বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানে খামারি হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
- পত্নীতলায় ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ একজনের বাতিল
- পোরশায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- পোরশায় কসমেটিক্স ও স্টেশনারি দোকান পুড়ে ছাই
- রাণীনগর-আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা
- আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা
- মহাদেবপুরে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী
- মান্দায় প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় ধানের বাম্পার ফলন
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- নওগাঁয় জেলায় এখন ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- নওগাঁ থেকে যশোর-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রোডে বাস চালু
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- কাঁচা এবং হাফ সেদ্ধ ডিম কি আসলেই উপকারী, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
- মেঘনায় হচ্ছে তৃতীয় সেতু,দূরত্ব কমবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী কয়েক জেলার
- সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- কাঁঠাল থেকে তৈরি হবে দই, আইসক্রিম, চকোলেট ও চিজ
- তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হচ্ছে জুনে
- কলা উৎপাদনে সহযোগিতা করবে ফিলিপাইন, আলু নিবে শ্রীলংকা
- বগুড়ার দুর্গম যমুনা চরে চাষ হচ্ছে সুপার ফুড `কিনোয়া`
- বন্দরে ভারতসহ তিন দেশের ৬ গমবাহী জাহাজ, কমতে শুরু করেছে দাম
- এসি রুমে বসে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছেন চালকরা
- এক মাসেই ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি
- সাগরে আরও একটি কূপ খননের প্রক্রিয়া শুরু
- ঘরে বসে এক কলেই মিলছে পাসপোর্ট-ভিসার সব তথ্য
- কঁচা নদীর ওপর সেতু `দুই ঘণ্টার রাস্তা এখন দু`মিনিটের`
- সব স্টেশনই হবে আধুনিক ও নান্দনিক
- মেট্রোরেলে চাকরি, পদ ১৩০, আবেদন ফি ৫০০