বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০১৯
ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক ড্যান্স কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী ও নির্দেশক পূজা সেনগুপ্ত। একই মর্যাদা পেয়েছে পূজার নাচের প্রতিষ্ঠান তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স । গত ৩১ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পূজা নিজেই। তিনি জানান, এই স্বীকৃতির ফলে এখন থেকে ইউনেসকোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন তিনি ও তাঁর দল। শুধু তা-ই নয়, দেশে আন্তর্জাতিক মানের যেকোনো নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজনেও সহায়তা করবে ইউনেসকো।
তুরঙ্গমীর এই কর্মধারার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় এমন অর্জন প্রসঙ্গে পূজা বলেন, ‘এটি এক ধরনের অর্জন। আমি এবং আমাদের দলের সবাই খুব খুশি। এমন স্বীকৃতি আমাদের সামনে পথ চলতে অনেক সহযোগিতা করবে। আমি যে কাজগুলো করে এসেছি, তা আমার একান্ত নিজের সৃষ্টি। যে স্বীকৃতি পেলাম, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে নৃত্য গবেষণা ও উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও নৃত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তুরঙ্গমীর চলমান প্রয়াস আরও গতিশীল হবে।’
বর্তমানে পূজা ও তাঁর দল ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট হো চি মিনের ওপর একটি আত্মজৈবনিক নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। আসছে সেপ্টেম্বরেই তারা তাদের পরিবেশনাটি মঞ্চে নিয়ে আসবে।
২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি তুরঙ্গমীর যাত্রা শুরু হয়। সচরাচর নাচের দলের মতো এটি নয়। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে নাচকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন পূজা। নাচে পেশাদারির একটা জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। পূজা বললেন, বাংলাদেশের অনেক নৃত্যশিল্পী অনেক বছর নাচ শিখে একটা সময় হারিয়ে যান। নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো উপায় থাকে না তাঁদের কাছে। এমন শিল্পীদের একটি পেশাদারি প্ল্যাটফর্ম দিতে তুরঙ্গমীর জন্ম। তা ছাড়া সারা বিশ্বে নাচ অনেক এগিয়ে গেছে। নিজেদের দেশের নাচকেও আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে চায় তুরঙ্গমী।
এটিই বাংলাদেশের প্রথম ড্যান্স থিয়েটার ও নৃত্যভিত্তিক রেপার্টরি। এই নৃত্যদলের প্রতিষ্ঠার ৪ বছর পূর্তিতে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স। পদ্ধতিগত নৃত্যশিক্ষার পাশাপাশি নৃত্য নিয়ে গবেষণা ও নৃত্যের নতুন আঙ্গিক নির্মাণ নিয়ে কাজ করছে তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স।
ইতিমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে গেছে দলটি। ঝুলিতে আছে ড্যান্স থিয়েটার, ড্যান্স ফিল্ম, অ্যানিমেশন ড্যান্সসহ নানা মাত্রিক প্রযোজনা। সৈয়দ শামসুল হককে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথম প্রযোজনা করেছিল এ দল। এরপর তারা একে একে ‘পথিকৃৎ’, ‘রেজ্যুলেশন’, ‘ওয়াটারনেস’, ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র মতো প্রযোজনা তৈরি করে। এসব কিছু করতে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুহৃদেরা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়