শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯
চারিদিকে পাখি আর পাখি। পাখির কিচির মিচিরে সকাল বিকাল সন্ধ্যা মুখরিত হয়ে থাকে। এই চিত্র এখন সাপাহারের ঐতিহ্যবাহী জবাই বিলে দেখা যাচ্ছে। সুদূর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া থেকে তারা এসেছে নিরাপদ বাসস্থানের খোঁজে। তাদের নিরাপদ আশ্রয় এখন জবাই বিল। ইতোমধ্যেই তারা শীতকালের অর্ধেকটা কাটিয়ে দিয়েছে, পুরো শীতকাল এখানেই কাটানোর পর সাময়িক আবাসভূমি ছেড়ে তারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে।
নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কি:মি অদূরে শিরন্টি,গোয়ালা ও আহাই,পাতাড়ী এই ৪ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জবাই বিল এখন হাজার হাজার অতিথি পাখির নিরাপদ বিচরণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে। নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল এখন অতিথি পাখির কিচির মিচির ডাক হাঁক আর কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে এমনই হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে ঐতিহ্যবাহী জবাই বিলে। এই বিলে অতিথি পাখির জন্য পর্যাপ্ত খাবার থাকায় প্রতি বছর শীতের সময় হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন হয়। এখানে শামুকখোল, বক,কক, বালিহাঁস, চাহা,রাজহাঁস,পাতি সরালী সহ নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির কলতানে সব সময় মুখরিত থাকে এই বিলের সর্বত্র।
সম্প্রতি এই বিলে অবাধে অতিথি পাখি শিকার শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ফলে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বিলের অতিথি পাখি শিকার প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নির্বাহী অফিসারের সময় উপযোগী পদক্ষেপে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে অসাধু শিকারীগণ ভয়ে বিল এলাকায় তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়। একই সাথে জবাই বিল জীব বৈচিত্র সংরক্ষন কমিটির সদস্যগণ ও জবাই বিল মৎস্য চাষ উন্নয়ন সমিতির দল নেতাদের অতিথি পাখি শিকার প্রতিরোধে প্রশংসনীয় ভুমিকা দেখা গেছে। সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী এই বিলের অতিথি পাখি রক্ষা ও কথিত শিকারীদের অবৈধ কর্মকান্ড কঠোর হস্তে প্রতিহতের ব্যবস্থা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়