বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। এই সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং উপ-অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়াবে। এছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক মুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে। শনিবার সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগত অতিথিরা এসব কথা বলেন। তারা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে’। এটি যে আমাদের উৎসব, আনন্দ ও গৌরবের- আজ তা পুরো জাতির মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছোটবেলায় ঈদের চাঁদ উঠলে যে আনন্দ হতো, আজ তার চেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে।’ হাছান মাহমুদ বলেন, সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। আজকে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ উৎসব করছে। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তারা এখন লজ্জিত। যারা পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল, তারাও আজকে উল্লসিত যে বাংলাদেশ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছে। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানিয়েছেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি। এটা তাদের চরম রাজনৈতিক দৈন্য। এটার মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছে, তারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল। এই সেতু হওয়াতে সমগ্র বাংলাদেশ খুশি হতে পারলেও তারা খুশি হতে পারেনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন, পদ্মা সেতু পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এটি যে আমাদের উৎসব, আনন্দ ও গৌরবের- আজ তা পুরো জাতির মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে আসা মানুষ, বাস ও ট্রাক দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করবে। দক্ষিণ সিটির পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম। আন্তঃজেলা বাসগুলোর জন্য আমরা ৪টি টার্মিনাল করছি। যেন বাস-ট্রাকগুলো সরাসরি ঢাকা দিয়ে গাজীপুর না যায়। ট্রাকগুলোর মালামাল টার্মিনালে নামবে। তারপর যে যার মতো বাহন দিয়ে নিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে জাতির জনকের ইচ্ছা ছিল পদ্মা ও অন্যান্য নদীতে ব্রিজ করা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এতটা প্রকট ছিল যে স্বাধীনতার পর তিনি অনুভব করেছিলেন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাবতেন, যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সুন্দর, সে দেশের উন্নতিও বেশি হয়। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাহসী বলেছেন তিনি, এটাও বলেছেন, ভাল কাজ করছেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়