শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২২
উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র এলাকা খ্যাত নওগাঁ জেলা। এক সময় জেলার পত্নীতলা উপজেলাসহ সর্বত্রই চোখে পড়তো চালতা গাছ। বিদেশি ফলের আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশিয় ফল চালতা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ফেরি করে পাড়া-মহল্লা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এই চালতার আচার বিক্রয় করতো ভ্রাম্যমাণ ভাবে বাইসাইকেল কিংবা ভারে করে।
তরুণ-তরুণীসহ সকল বয়সিদের কাছে এই টক জাতীয় চালতা ফলের আচার খুবই জনপ্রিয়। তা আজ শুধুই স্মৃতির! এখন আর চালতা ফলের গাছ চোখে পড়ে না।
জানা যায়, বহুবিধ ওষুধি গুণ সম্পন্ন এ ফল পাকে বর্ষার শেষে এবং তা পাওয়া যায় শীতকাল পর্যন্ত। ফুল ফোটে আষাঢ়-শ্রাবণে। সুগন্ধিযুক্ত এ ফুলে পাপড়ি থাকে ৫টি। অন্যান্য ফুলের ডিম্বাশয় পরিপক্ক হয়ে যেখানে ফলে পরিণত হয়, চালতার ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। এর বৃতিগুলো বড় হতে হতে বেল আকৃতির কিংবা ডালিম আকৃতির ফলে পরিণত হয়। এ যেন প্রকৃতির এক বিস্ময়কর খেলা।
পতœীতলা উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এর আনোয়ারা চিকিৎসালয়ের জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. এম.এ গফুর বলেন, চালতা আয়রণ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ,বি ও সি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এ ফল লিভারের রোগ ও স্কার্ভি প্রতিরোধে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখে।
নজিপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় গ্রাম বাংলার পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে ও বাড়ির উঠোনে চালতা গাছ চোখে পড়তো। বর্তমানে তেমন আর দেখা যায় না। একটি গাছে বছরে একবারই ফল ধরে। চালতা গাছের সবুজ পাতা খাঁজকাটা। চালতার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে ঘরে ঘরে চালতা গাছ লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়