শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২১
নওগাঁর পত্নীতলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। ফরহাদ হোসেন পত্নীতলা থেকে জানান, শস্য ভান্ডার বলে পরিচিত নওগাঁর পত্নীতলায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়েনের সর্বত্র এখন মাঠে সোনালী রঙ্গের সমারোহ। কৃষকেরা ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন, বসে নেই কৃষানীরাও। চলছে ঘরে ঘরে নব্বানের উৎসব, কৃষকরা তাঁদের স্বপ্ন্রে ফসল ঘরে তুলতে উঠে-পড়ে লেগেছে।
কৃষকরা জানায় এবার আমন চাষে সার কীটনাশক শ্রমিক হালচাষ সময়মতো কাজে লাগাতে পেরে এবং পরিচর্যা করতে পেরে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। পানির সঙ্কট হয়নি।
তবে অনেক কৃষক জানিয়েছেন এবার ধানের রোগ বালাই দমনে তাঁদের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। এতে প্রতিটি কৃষকের মোটা অংকের বাঁকী হয়েছে কীটনাশকের দোকানগুলোতে। নতুন ধান ঘরে তুলে ঋণ মহাজন পরিশোধ করবেন বলে জানায় কৃষকরা।
পাটিচরা ইউনিয়েন কৃষক বিঞ্চু পদ, শাহাজাহান আলী, হারুনুর রশীদ, নজিপুরের শিতেন চন্দ্র কৃষ্ণপুরের হরিবর রহমানসহ অনেকে বলেছেন ওই সব মহাজনি ঋণ এর কথা।
চলতি মওসুমে প্রতি বিঘায় ১৬ হতে ২০ মন পর্যন্ত ধানের ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। স্থানীয় আড়ৎগুলোতে প্রতিমন ধান ১ হাজার হতে ১১শ’ টাকায় ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। কৃষকরা ধান বিক্রয় করে মহাজনি ঋণ পরিশোধ করে বোরোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে।
পত্নীতলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মওসুমে ২৮ হাজার ২শ’ ৫৬ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ২৭ হাজার ২শত হেক্টর। আবাদ কম হলেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৪ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন ।
অতিরিক্ত উৎপাদন বেড়েছে আরো ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। পত্নীতলায় ব্রি ধান ৩৪, ৪৯, ৫১, ৫২, ৬২, ৭২, ৭৪, স্বর্ণা ৫ ও দেশীয় চিনি আতব চাষ করেছেন কৃষকেরা। পত্নীতলায় শতকরা ৬০ ভাগ ধান কাটা মাড়াই হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা সময় মতো সার বীজ কীটনাশক ও কৃষি সহযোগীতা পেয়ে ধানের উৎপাদন বেড়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়