বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৯
ফাইল ছবি।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ত্রি-মহোনীতে মেলার নামে চলছে নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর। কোন অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এ নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার রমরমা ব্যবসা। যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ত্রি-মহোনী ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা বিনিময়ে দর্শকদের ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ভিতরে স্টেজে চলছে কয়েকজন তরুনীর নগ্ন নৃত্য। এভাবেই প্রতিদিন রাত ১০ টার থেকে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলছে এ অশ্লীল নৃত্য। আর স্টেজের পাশেই চলছে মাদক ও জুয়ার আসর।
নৃত্য পরিবেশন পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে প্রলুব্ধ করে পাতানো জুয়ার ফাঁদে পকেট কেটে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এসব অবৈধ কারবারে পাহাড়া দিচ্ছে পুলিশ। এ ধনের কর্মকান্ডের কারণে দরিদ্র মানুষের সামান্য রোজগারের অর্থও যেমন নষ্ট হচ্ছে,তেমনি উঠতি বয়সী যুবকরা ধাপিত হচ্ছে মাদক ও অশ্লীলতার দিকে। বেড়ে যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তি। সাধারন মানুষ অর্থ যোগান দিতে জরিয়ে পড়ছে চুরি,ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্মের সঙ্গে। অবনতি হচ্ছে উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
স্থানীয়া জানান, জুয়া, মাদক ও নারীদের উলঙ্গ নৃত্যের জমজমাট আসর পরিচালনা করছেন রনজিৎ কুমার, ইদ্রিস আলীসহ কয়েকজন জুয়াড়ি। তাদের কারনে এলাকার সাধারণ মানুষ সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। যুবক সমাজও ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। নগ্ন নৃত্য, মাদক ও জুূয়ার আসর বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঈসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের ত্রি-মহোনীমাঠে নিষিদ্ধ অশ্লীল নৃত্য ও রমরমা জুয়ার আসর চালিয়ে আসছেন আয়োজকরা। যা গত ১৫ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়রা আমাকে একাধিক অভিযোগ দেয়ায় আয়োজকদের নগ্ন নৃত্য, মাদক ও জুয়ার আসর বন্ধ করতে বলেছি। এরপরও তারা শোনেনি।
এবিষয়ে পত্নীতলা থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ১৮ জুন থেকে মেলার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও মেলা চললে আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়