শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২২
পত্নীতলায় জনির মেহমানদারীতে খাবারের সাথে শীতবস্ত্র উপহার পেয়ে খুব খুশি দুস্থ অসহায় মানুষ গুলো। প্রতি শুক্রবারেরে ন্যায় আজ (৭ জানুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড ধামইর রোডের তৃপ্তি হোটেলের সামনে টেবিল চেয়ারে বসে আজও দুস্থ দের জন্য ভাল খাবার আয়োজন করেন তরুন সমাজ সেবী জিয়াউর রহমান জনি। এদিন খাবার খাওয়ার পরে তাদের প্রত্যককে শীতবস্ত্র একটি করে কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে।
ওই দিন দুপুরেও ৩০ জন অসহায় মানুষ টেবিল চেয়ারে বসে রই মাছ, ডাল, সবজি দিয়ে আনন্দ উল্লাসে ভাত খাচ্ছেন। তাদের মেহমানদারী করছেন জনি। একবেলা তৃপ্তি সহকারে ভাল খাবার খেয়ে তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলক ।
খাবার খেতে আসা বাবনাবাজ এলাকার আদিবাসী নারী সারতী রানী বলেন, আমার ছেলেরা আমার দেখাশোনা করে নস । তাই ৫ বছর ধরে মানুষের বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে খাই। ভিক্ষা করে তিন বেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না। মাছ-মাংস বছরে একবারও কেনার সামর্থ্য হয় না। কিন্তু এখন প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার এলে আমার খুব ভাল লাগে যে ভাল খাবার পেট ভরে খেতে পারবো পেট ভরে খামু ।খাবার পরে জনি ভাই যখন আমার গায়ে কম্বল জরিয়ে দিলো আমি খুব খুশি হয়েছি ভগবান জনি ভাইয়ে মনের আশা পুরোন করুক।
ধামইরহাট এলাকা থেকে আসা ইউসুফ আলি বলেন আমার কাছে তো ঈদের দিন মনে হয়। এখন প্রতি শুক্রবার এলে দূরে কোথাও না গিয়ে নজিপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষা করে দুপুরে নজিপুর তৃপ্তি হোটেলে এসে কোনো দিন মাংস ও কোনো দিন মাছ দিয়ে পেট ভরে ভাত খাই। খেতে কোনো টাকা লাগে না। ভাল খাবার ও শীতবস্ত্র পেয়ে সেও খুশি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সিদ্দিক আলী বলেন, জন্মের পর থেকে আমার দুই চোখ অন্ধ নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসে বাসে ভিক্ষা করি। দুই মেয়ে বিয়ে হয়েগেছে ছেলে নাই, ভিক্ষার টাকায় কোনোমতে জীবন বাঁচাই। ভালো-মন্দ খাবার আশা করাই তো দোষের। সপ্তাহে এক দিন এখানে আসি একটু ভালো খাবারের আশায়। জনি ভাই আমাদের খাওয়ান। এর জন্য কোনো টাকা নেন না। আল্লাহ যেন তার ভালো নসিব করে। আমরা সবাই খাই হোটেল বিল দেন জনি ভাই। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন।
এমন মহতী উদ্যোগের বিষয়ে কথা হয় জিয়াউর রহমান জনির সঙ্গে। তিনি বলেন, অসহায় ব্যক্তিদের জন্য আমার মন কাঁদে। আমার যেটুকুাে সামর্থ আছে তা থেকেই মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।বন্যা, করোনা মহামারী, প্রচন্ড শীতে বিভিন্ন দূর্যোগের সময় মানুষের পাশে ছিলাম।গত ৩ মাস যাবত অভাবী ও দুঃখী মানুষদের মুখে এভাবে এক বেলা খাবার দিয়ে আসছি। আল্লাহ সামর্থ্য দিলে “যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিনই এমন কাজ করে যেতে চাই আমি।
প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার দিন এভাবেই চলে জিয়াউর রহমান জনির মেহমান দারী গত কয়েক দিন থেকে খুব শীত নেমে এসেছে এমন তাই এই দুস্ত মানুষগুলোকে খাবার খাওয়ার পরে তাদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার দেন জনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়