শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার খাদ্যগুদাম সড়কটি খানাখন্দে ভরা। কার্পেটিং ও ইট-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত ও ভাঙাচোরায় এই সড়কে হাঁটাও দায়। এতে প্রতিনিয়ত এ পথে চলাচলকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
প্রায় এক কিলোমিটার সড়কটিতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সংস্কার না করায় রাতে পথচারীরা চলাচল করার সময় পড়েন দুর্ঘটনায়।
ছোট-বড় ট্রাক, ভ্যানগাড়ি চাল কিংবা গম নিয়ে খাদ্যগুদামে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রায়ই। যতই দিন যাচ্ছে ততই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। খাদ্যগুদাম জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সব সময় ছোট-বড় ট্রাক কিংবা ভ্যানগাড়ি চলাচল করেই। তাই অতি দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, নজিপুর-সাপাহার আঞ্চলিক মহাসড়কে পত্নীতলা বাজারসংলগ্ন গুদামে প্রবেশের রাস্তাটি বেহাল। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলছে। একমাত্র সরু রাস্তা দিয়ে গুদামে ট্রাক চলাচলের সময় সৃষ্টি হচ্ছে নানান সমস্যা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা আর জলাবদ্ধতায় পথচারী এবং যানবাহন চলাচলে সড়কটি অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জানান, গুদামে প্রবেশের রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
খাদ্যগুদামের পাশে যাঁদের বাসা, তাঁদের কষ্ট আরও বেশি। কারণ, রাতের বেলায় বেহাল এই সড়ক ব্যবহার করেই চলতে হয় স্থানীয় লোকজনকে। পথ চলতে গিয়ে মাঝেমধ্যে রাস্তার বড় বড় গর্তে পড়তে হয় অনেককেই। ঢালাই উঠে বের হওয়ায় বিভিন্ন সময় আঘাত লেগে আহত হয়েছেন অনেকেই। বড় একটি ট্রাক রাস্তায় এলে পাশ দিয়ে আর কোনো ভ্যানও চলতে পারে না। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
নিরাপদ সড়ক চাইর (নিসচা) কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ গফুর বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপদ সড়ক জরুরি। এ অবস্থায় এলাকার স্থানীয় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
লিটন সরকার সম্প্রতি বদলি হয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি। তবে খুব তাড়াতাড়ি সড়কটির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সংস্কার করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়