বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২১
নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় ১৪ মাস যাবৎ সুবর্ণা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূ ঘরছাড়া। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। সুবর্ণা খাতুন উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল গ্রামের বাদল মণ্ডলের মেয়ে।
আসামিরা হলেন সুবর্ণা খাতুনের স্বামী কাজল আলী (২৭), সহযোগী সাদেকুল ইসলাম (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩০)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সুবর্ণা খাতুনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার হাকরইল গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে কাজল আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের দেড় বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁর স্বামী। বিভিন্ন সময়ে স্বামীকে এক লাখ টাকা এনে দেন সুবর্ণা খাতুন। এরপর আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করেন কাজল আলী।
সুবর্ণা খাতুনের পরিবার টাকা দিতে না পারায় ১৪ মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হলেও যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সুবর্ণা আর স্বামীর ঘরে ফিরতে পারেননি।
এ বিষয়ে সুবর্ণা খাতুন বলেন, `বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন কাজল। এক লাখ টাকা দেওয়া হলেও আরও টাকার জন্য চাপ দেন। আমার বাবার সামর্থ্য না থাকায় বাড়তি টাকার আবদার মেটাতে পারেননি। ফলে ১৪ মাস ধরে বাবার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।
এছাড়া টাকার জন্য আমার ওপর নির্মম অত্যাচার চালাতেন কাজল। এমনকি নতুন করে বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতেন। এখন লোকমুখে শুনছি, আরেকটি বিয়েও নাকি করেছেন তিনি।'
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়