বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১
ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রং আর অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে সেজে ওঠে ফসলের মাঠ। কখনো সবুজ রঙে ছেয়ে যায় মাঠ, কখনো রুপালি জলে ভরে যায় বিল আবার কখনো সোনালি ধানের শিষে লাগে বাতাসের দোল, আর শীতের শুরুতে দিগন্ত জুড়ে দেখা যায় হলুদ সরিষা ফুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর, বরিয়া, ছাতমা এলাকায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। দেখে মনে হয়ে যেন হলুদ চাদরের বিছানা। এ সময় ছোট থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও দেখা যায় সরিষা মাঠের ছবি তুলতে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৪শ ৮০ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৩৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। তবে এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ৪৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
এ বিষয়ে চকশিতা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমাদের হরিপুর বিলে পানি থাকার কারণে ধান একবার করে হয়। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরিষার আবাদ করে থাকি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
একই গ্রামের কৃষক লবির বলেন, ‘এ বছরে ৮ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং ফুলও এসেছে ভালো। প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ করে পেলেও এ বছর ৬ মণের অধিক সরিষা হবে।’
গুজিশহর এলাকার কৃষক রমজান বলেন, ‘বোরো ধান লাগানোর আগে খেতে সরিষা লাগানো হয়। সরিষার দাম ভালো থাকায় এ বছর ১০ বিঘা সরিষা আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকায় কৃষকও বেশ উৎসাহী। দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন হবে।’
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়