শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২২
নওগাঁর নিয়ামতপুরে অভিনব কৌশলে ইউএনও পরিচয়ে বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ দেয়ার নাম করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে আট হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার উপরকুড়া শালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে।
জানা যায়, ওই দিন মাকলাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে একটি নাম্বার (০১৯৫২-৫৮৩৮৭৯) ব্যাবহার করে ইউএনও পরিচয়ে ফোন করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। ফোন দিয়ে ০১৭১৮-৯৩৬১১০ নাম্বারটি প্রদান করে পাশর্^বর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ইউএনও’র ফোন পেয়ে আর কোন কিছু না ভেবেই মাকলাহাটের প্রধান শিক্ষক উপরকুড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে নাম্বারটি দেন এবং বলেন এটি ইউএনও স্যারের নাম্বার। এই নাম্বারে স্যারের সাথে কথা বলেন। ইউএনও’র সরকারী নাম্বার ফোনে সেভ না থাকায় ওই নাম্বারে ফোন করেন উপরকুড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরপরই প্রতারকের চক্রে পড়েন তিনি।
উপরকুড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসকুরা জানান, ওই দিন মাকলাহাটের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম তাঁকে ফোন করে (০১৭১৮-৯৩৬১১০) নাম্বারটি দিয়ে বলেন, এটি ইউএনও স্যারের নাম্বার। এই নাম্বারে তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পরে নাম্বারটিতে ফোন করেন তিনি। কল করলে অপর প্রান্ত থেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে তাকে বলা হয় আপনার বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত নাম্বরটিতে আট হাজার টাকা (নগদ এ্যাপে) পাঠান। সংগে সঙ্গে তিনি নাম্বারটিত নগদে আট হাজার টাকা সেন্ড করেন। পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পারেন তিনি।
জানতে চাইলে মাকলাহাট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম জানান, তাকে ইউএনও পরিচয়ে ফোন দিয়ে নাম্বারটি দেয়া হয় এবং পাশর্^বর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নাম্বারটি দিয়ে কথা বলতে বলেন। তিনি এও বলেন, ভেবেছিলে ৩১ জানুয়ারী ইউপি নির্বাচন। হয়তো কেন্দ্রের বিষয়ে স্যার খোঁজ খবর নিবেন, তাই তিনি দ্রুত উপরকুড়া শালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নাম্বারটি দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আলম জানান, এমন ঘটনার পরপরই তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসিয়াল ফেইসবুক আইডি থেকে এমন ঘটনা থেকে যাতে শিক্ষকরা বিরত থাকেন সে বিষয়ে তাৎক্ষনিক সচেতনতা মূলক পোস্ট দেয় হয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও আব্দুলাহ আল মামুন জানান, ওই দিন শিক্ষক পরিচয়ে কয়েকটি ফোন আসে তাঁর কাছে। শিক্ষকরা ফোন দিয়ে তাঁকে জানান, স্যার আপনি নাকি ফোন দিতে বলেছেন তাই কল করেছি। কিন্তু এমন কোন ঘটনা ছিলনা তাই বিষয়টি নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় তাঁর মাঝে এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে এক প্রধান শিক্ষক প্রতারনার শিকার হন, এমন সংবাদ পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেন যেন আর কোন শিক্ষক এই প্রতারণার চক্রের খপ্পরে না পড়েন। সে বিষয়ে শিক্ষকদের যেন দ্রুত অবহিত করা হয়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়