বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২
ঘোড়া দিয়ে অন্যের জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শাবিলপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।
গরু-মহিষ দিয়ে জমি চাষের দৃশ্য স্বাভাবিক। কিন্তু গরু-মহিষের জায়গায় ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ ব্যতিক্রম ঘটনা। অবশ্য এখন সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষাবাদেও এসেছে পরিবর্তন। পশু দিয়ে জমি চাষ না করে যান্ত্রিক নানা প্রযুক্তির সাহায্যে জমি চাষ করে থাকেন কৃষকরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলামের নিজের কোনো জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তিনি চাষাবাদ করেন। তা দিয়ে ঠিক মতো সংসার চলে না। অভাবে সংসারে আয়ের একমাত্র উৎস ঘোড়া দিয়ে হালচাষ।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শখ করে একটি ঘোড়া কিনেছিলাম। পরে চিন্তা করলাম ঘোড়া দিয়ে যদি গাড়ি চালানো যায়, তবে জমিতে হালচাষ ও মই দেওয়া যাবে। পরে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ শুরু করি। এখন বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৬ থেকে সাড়ে ৮ বিঘা জমিতে মই দিই। এতে আমার প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আয় হয়। জমিতে মই দিয়ে প্রতিদিন যা পাই, তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে। এলাকায় অনেক কৃষক এখন পাওয়ারটিলার দিয়ে জমি চাষাবাদ করে। তারা আমার ঘোড়া দিয়ে মই দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এখন যান্ত্রিক উপায়ে জমি চাষ করেন কৃষকরা। ঘোড়া প্রকৃতিগতভাবে পরিশ্রমী প্রাণী। তবে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করা হলে কৃষিতে ভালো অবদান রাখতে পারবে ঘোড়া।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়