শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২০
জীবন-জীবিকার তাগিদে মাদ্রাসা থেকে ছিটকে পড়া বাদাম বিক্রেতা শাকিরুল মুজিব জন্মশতবর্ষের শুরুতে আবারও ফিরেছে মাদ্রাসায়। এ নিয়ে তার মাদ্রসায় চলছে খুশির জোয়ার। এক বছর পর তার এ ফিরে আসায় দারুণ খুশি সহপাঠীসহ শিক্ষকরা।
আর শাকিরুলের পড়ালেখায় ফিরে আসার পথটি প্রশ্বস্ত করতে এগিয়ে আসেন উপজেলা প্রশাসনসহ অনন্যা নিয়ামতপুর ক্লাবের সদস্যরা।
গত সোমবার বিকালে শাকিরুলের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে দেয়া হয় ১৩টি মুরগি (১০ কেজি ফিডসহ) ও দুটি ছাগল। গত ১৬ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার এমপি তাদের হাতে এগুলো তুলে দেন।
জানা যায়, নিয়ামতপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল শাকিরুল। মা জ্যোৎস্না বেগম। বাবা মারা গেছেন জন্মের কিছুদিন পর। ছোট্ট কুঁড়েঘরে বিধবা মাকে নিয়েই তার সংসার ও বেড়ে ওঠা। সংসারের উপার্জনক্ষম মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর্থিক অনটনে মায়ের চিকিৎসা ও খাবার জোটাতে শাকিরুল পড়ালেখা ছেড়ে বাদাম বিক্রি শুরু করে। কাঁধে বাদাম নিয়ে তার স্বপ্ন ফেরি করে ঘুরে বেড়ায় পথে পথে। শাকিরুল হয়ে যায় পথশিশু।
একদিন বাদাম কেনার সময় শাকিরুলের সঙ্গে কথা হয় অনন্যা ক্লাবের সদস্যদের। তখন তারা জানতে পারেন বাদাম বিক্রির নেপথ্যের কথা। তারা শাকিরুলসহ তার মাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। সব শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা ওই মাকে শর্তজুড়ে বসেন সবই দেয়া হবে আপনাকে; কিন্তু ছেলে শাকিরুলকে পড়ালেখা করাতে হবে। এমন প্রস্তাবে রাজি হন মা।
তারপরেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অন্যন্যা নিয়ামতপুর ক্লাবের সদস্যদের সহযোগিতায় শাকিরুলকে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়