মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য হলেই ধর্ষককে শাস্তি দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘এসব মামলার দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং নিস্পত্তি করতে হবে।’
শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ইনকোয়ারি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ রোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক (ভার্চুয়াল) মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজ, সব নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ২৪৯ জন ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ মুখার্জি প্রমুখ।
সভায় কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আরা বেগম স্বাগত বক্তব্যে কমিটির কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞ বিচারকরা নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে তাদের মতামত এবং এসকল মামলার বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।
বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ধর্ষণের মামলা পরিচালনাকালে কারও দ্বারা আদালত প্রভাবিত হবেন না। বিচারহীনতা ও বিচারে বিলম্বের অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রায় প্রদানে কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় আর অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমরা নুসরাত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত রায় দেখেছি, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু রায় এখনও কার্যকর হয়নি। সব ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত রায় এবং রায় কার্যকর হলে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। পাশাপাশি, ধর্ষণের মামলার শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান।’
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়