বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০
কাউন্সিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত গতি আসেনি ছাত্রদলে। উল্টো সাবেক কমিটির এক সদস্যের করা মামলায় ছাত্রদলের কমিটির কার্যক্রম নিয়ে রয়েছে স্থগিতাদেশ। বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’খ্যাত এ সংগঠনটির কার্যক্রম অনেকটাই মন্থর।
জানা গেছে, আভ্যন্তরীণ কোন্দল, দ্বন্দ্ব, ও সিন্ডিকেটের কারণে ঢাকঢোল পিটিয়েও ছাত্রদলকে গতিশীল করে রাজপথে নামাতে পারেনি বিএনপির হাইকমান্ড। যার কারণে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে ছাত্রদল- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
সূত্র বলছে, দীর্ঘ ২৭ বছর কয়েকটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণেই ছিলো ছাত্রদল। বিভিন্ন সময়ে অযোগ্য, নিষ্ক্রিয় ও তাদের আস্থাভাজনদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হয়েছে, যাতে সংগঠনটি নিজেদের কব্জায় থাকে। এর ফলে যোগ্য ও সাহসী নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের রাজনীতি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ফলে ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু ছাত্রসংগঠনে পরিণত হচ্ছে ছাত্রদল। কোন্দলের জেরে নতুন নেতৃত্ব নিয়েও ছাত্রদলে রয়েছে অসন্তোষ। ঠুনকো অজুহাতে কেন্দ্র থেকেও বিভিন্ন উপজেলা কমিটি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কমিটি গঠনে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হলেও তা ফাইলবন্দি থাকছে। কেন্দ্রের বিভ্রান্তিকর কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকগুলো জেলায় স্থবির হয়ে আছে ছাত্রদলের কার্যক্রম।
একটি সূত্র বলছে, সিন্ডিকেটে আবদ্ধ থাকায় ছাত্রদল দিন দিন তাদের ঐতিহ্য হারাতে শুরু করেছে। রাজপথে বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল এখন বিএনপির জন্য সময় দলের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ডকে। যদিও ছাত্রদলের কাউন্সিলের পর ধারণা করা হয়েছিল, সংগঠনটির কাজে গতি আসবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও সেই আশায় প্রহর গুনতে থাকেন; কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর এখনও প্রত্যাশিত সফলতা দেখাতে পারেনি নতুন নেতৃত্ব।
ছাত্রদলের দুর্দশার বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, সংগঠনে গতি ফেরাতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কিছু সিন্ডিকেটের কারণে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করা যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেকৃবি, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমের কমিটি গঠনে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অথচ আন্দোলন-সংগ্রামে এসব ইউনিটেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
জানা গেছে, সাংগঠনিক অদক্ষতা, সঠিক কর্মকৌশলের অভাব, ছাত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে নিয়মিত সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় অতীত অর্জন ধরে রাখতে পারছে না ছাত্রদল। এতে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ ছাত্রদের থেকে। অচিরেই ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করা না গেলে নানাবিধ সমস্যার কারণে আগামীতে ছাত্রদলের রাজনীতি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে কর্মীরা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়