মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২
নওগাঁর পাইকারি আড়তে মাছের দাম কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বেড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় অনেক জেলে পুকুর-জলাশয়ে না নামায় বাজারে কমেছে মাছের সরবরাহ। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া টানা শৈত্যপ্রবাহে মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস দেখা দিচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
ভোর থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠে নওগাঁর সান্তাহার বাইপাস মাছের আড়ত। তবে দুই সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কমেছে মাছের সরবরাহ। জেলেরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ায় বিল জলাশয়ে মাছ ধরা ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহও কমে গেছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে যারা মাছ নিয়ে আসছেন চাহিদা বেশি থাকায় মুহূর্তেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
এ আড়তে প্রতি কেজি রুই ২২০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, মৃগেল ২১০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা, পাঙাশ ১৪০ টাকা, শিং ও মাগুর ৪৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, জাপানি কার্প, ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, চাষ করা কই ৩০০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষ করা রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও কার্পজাতীয় মাছের সরবরাহ কম থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি বেশি। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। এতে মাছ চাষিরা খুশি হলেও বিপাকে আছেন ক্রেতারা। বিক্রিতেও পড়েছে প্রভাব।
মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বাড়তি। যার কারণে মাছ কিনতে পারছি না। যে মাছের দাম ১৫০ টাকা কেজি ছিল। সে মাছের এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে চাষ করা মাছে দেখা দিচ্ছে ক্ষতিকর ভাইরাস। মাছ চাষিরা জানিয়েছেন, শীতের কারণে মাছ ধরা যাচ্ছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিটি মাছের দামই বেড়েছে।
উল্লেখ্য, সান্তাহার পাইকারি আড়তে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়