বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৪ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯
একুশে পরিষদ নওগাঁ-র আয়োজনে এবং প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় আজ ২২ জুন সন্ধে ৭.১৫ মিনিটে প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ-র ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. ডি. এম. আব্দুল বারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন একুশে পরিষেদের উপদেষ্টা কবি আতাউল হক সিদ্দিকী ও কবি ম. আ. ব. সিদ্দিকী। কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ-র সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনান একুশে পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল্লাাহ-আল-রাফি সরোজ। এরপর আবৃত্তি পরিষদ নওগাঁ-র প্রযোজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘রাস্তার কবিতা’ পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একুশে পরিষদের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার হাশেম আলী রন্জু।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একজন কবি ও গীতিকার যিনি ‘প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি’ হিসাবে খ্যাত। আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি তাদের অন্যতম। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’। তিনি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদী কবি হিসেবে খ্যাত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তাঁর কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উপস্থিত।
এছাড়াও স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে তাঁর কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে ক’জন কবি কবিতাকে শ্রোতাপ্রিয় করে তোলেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ৩৪ বছরের স্বল্পায়ূ জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
স/নু
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়