শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শীতকালীন সবজির জন্য প্রসিদ্ধ জেলা নওগাঁ। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে সবজি কিনে সারা দেশে সরবরাহ করেন।
তবে গত বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সারা দিন চলা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে হঠাৎ করেই বাজারে সবজির দাম বেড়ে গেছে।
গতকাল রোববার জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে সব ধরনের সবজির সরবরাহ কম দেখা গেছে। এ ছাড়া খুচরা বাজারে ক্রেতা এবং পাইকারিতে ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও তুলনামূলক কম ছিল। যে সবজি পাওয়া যাচ্ছিল তার দাম ছিল বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির পর কৃষকেরা বাজারে সবজি কম আনছেন। এখন সবাই খেত পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। তা অপসারণ না করলে সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আর যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
সকালে শহরের গোস্তহাটির মোড়ে পাইকারি সবজি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে।
পাইকারি বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন ২০ থেকে ৩৫, ফুলকপি ১৫ থেকে ২৫, গাজর ১০ থেকে ১৬, শসা ২০ থেকে ৩০, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৪০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর প্রতিটি লাউ ২০ টাকার জায়গায় ২৫ টাকা এবং বাঁধাকপি ১৫ টাকার বদলে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৫০, শসা ৩৫, ফুলকপি ৩০, টমেটো ৩০, গাজর ২০ ও কাঁচা মরিচ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সুনীল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে জানান, বৃষ্টিতে অনেক সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। তাই কৃষকেরা কম পণ্য নিয়ে এসেছেন। আর সবজি কম পাওয়া গেলে দাম একটু বাড়েই।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, জেলাতে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে সবজিখেত খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়। তবে বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়