শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২০
নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের চক আতিথা গ্রামে মোনায়েম হোসেন বেশ কিছুদিন আগে একটি বয়লার চাতাল গড়ে তোলেন। কিন্তু বর্তমানে জেলার অন্যান্য হাস্কিং চাতালের মত তাঁর চাতালটিও বন্ধ রয়েছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে মোনায়েম হোসেনের ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিমেল ইউটিউবে কোন এক দেশে বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষের সফলতার কথা জানতে পেরে নিজেও এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
হিমেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবা মোনায়েম হোসেন ও মা হোসনে আরা মিলে তাদের বয়লার চাতালের একটি অংশে ১০০ টি বস্তায় অর্ধেক মাটি ভরাট করে আদা চারা রোপন করেন। একেকটি বস্তায় ২/৩টি করে চারা রোপন করেন
প্রাথমিক ভাবে মাটির সাথে কেবলমাত্র জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি। পরিবারের সকল সদস্য মিলে পরিচর্যা করছেন। আদা গাছগুলো বেশ ডগমগে হয়েছে।
মোনায়েম হোসেন জানিয়েছেন এই ১০০ বস্তা আদা চাষ করতে কেবলমাত্র বস্তা, আদা চারা মিলে খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা। আগামী চৈত্র মাসে এই আদা উত্তোলন করা হবে। তিনি আশা করছেন প্রতিটি বস্তায় কমপক্ষে আড়াই কেজি করে আদা উৎপাদিত হবে। এতে ওই ১০০ বস্তা থেকে আড়াইশ কেজি আদা পাওয়া যাবে।
বর্তমানে কমপক্ষে পাইকারী বাজার মুল্য প্রতি কেজি ১শ ২০ টাকা। সেই হিসেবে ওই ১০০ বস্তায় উৎপাদিত আদার বাজার মুল্য ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ২৭ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা নীট লাভ করতে পারবেন। এই সফলতার কারণে আগামী বছর তার পুরো বয়লার চাতাল জুড়ে ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
এই হিসেবে ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করে দেড় লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন জানিয়েছেন বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ করা কৃষকদের নিকট সম্পূর্ণ একটি নতুন ধারণা। চক আতিথা গ্রামের মোনায়েম হোসেনের বয়লার চাতালে এভাবে আদা চাষ করে মালিক মোনায়েম হোসেন সফলতা পেয়েছেন। এর অর্থ এই প্রক্রিয়ায় আদা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কেউ এভাবে আদা চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত ভাবে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়