শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২০
নওগাঁর রাণীনগরে বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ করতে গিয়ে উৎসাহ হারাতে বসেছে কৃষক।
স্বল্প পরিমাণ টাকায় জমি লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁপে চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও লাগাতার বৃষ্টি আর বন্যার কারণে পেঁপে ধরার আগ মুহূর্তে গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যাওয়ায় পেঁপে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চলতি মৌসুমে এই সমস্ত বাগানে পেঁপে ধরার আর কোনো সম্ভাবনা না থাকায় ক্ষতির মূখে পড়ছেন চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে পরিবেশগত কারণে রাণীনগর উপজেলা ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এক ঘেয়েমি ফসল চাষের প্রবণতা থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষে বিভিন্ন রকমের লাভজনক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আশেপাশে এবং উঁচু দো-আঁশ জাতের মাটিতে ধান চাষের পাশাপাশি পেঁপে চাষ শুরু করেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি হয়ে যাওয়া তৃতীয়বারের বন্যা আর ভারী বর্ষণের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে পেঁপে বাগানগুলো। এতে করে যে সব কৃষক জমি লিজ নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেছিলেন তারা অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, আমি কাশিমপুর ইউনিয়নে চক-কুজাইল মৌজায় প্রায় ৫ বিঘা জমি প্রতি বছর ৯ হাজার টাকা দরে লিজ নিয়েছি।
অন্যান্য শাকসবজি চাষের পাশাপাশি প্রায় ১ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। শুরুতে গাছগুলো ভালো থাকলেও লাগাতার বৃষ্টি আর বন্যার কারণে গাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা এখন বাড়ির আশেপাশে ও উঁচু জমিতে স্বল্প পরিসরে পেঁপে চাষ করছে। পেঁপে একটি লাভজনক সবজি।
বর্তমানে বাজারে পেঁপের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় দাম ভালো রয়েছে কিন্তু উপজেলার কৃষকদের পেঁপে বাগানের ক্ষতি হওয়ায় তেমন একটা লাভবান হবেন না তারা। তবুও বাগানের যে গাছগুলো বর্তমান আছে সেই গাছগুলো থেকে কিভাবে বেশি ফলন পাওয়া যায় সেই পরামর্শ কৃষকদের আমরা দিয়ে আসছি।
আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। কোনো বরাদ্দ এলেই তা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়