মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ৪ ১৪৩০ ০৯ রমজান ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯
নওগাঁয় হেলাল আহমেদ নামক পল্লি চিকিৎসক যৌন লালসার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন খাদিজা আক্তার (৩০) নামে এক নারী। চলতি মাসের ১৮ তারিখ রোজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নওগাঁ শহরের পাটালির মোড় এলাকার পল্লি চিকিৎসক হেলাল আহমেদের চেম্বারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে গত ২০ জানুয়ারী রোজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন।
যৌন নিপিড়নের শিকার খাদিজা নওগাঁ সদরের শহরতলী মদ্যপাড়ার রাজমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। ধর্ষক ডাক্তার হেলাল আহম্মেদ নড়াইল জেলার নড়াগাতী উপজেলার শিবপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে শহরের পাটালীর মোড়ে জনৈক শাহিন হোসেনের বাসার দুটি রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে পাইলস কিউর সেন্টার খুলে বসেন ডা. হেলাল আহম্মেদ (ডিপিএইচ,মেডিসিন/ ডিএমএফ,ঢাকা)। ঘটনার ৩ সপ্তাহ আগে আয়া কাম চেম্বার সহকারী হিসেবে চাকরি নেন এক সন্তানের জননী খাদিজা আকতার। এরপর গত ১৮ জানুয়ারী বিকেল ৫টার দিকে ডাক্তার হেলাল আহম্মেদ তার চেম্বারের ভিতরে খাদিজাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যৌন নিপীড়নের যন্ত্রনা সইতে না পেরে বিষ পানে আত্মহননের পথ বেছে নেন খাদিজা আকতার (৩০)। খাদিজা মারা যাবার পর তার ফোনরেকর্ড থেকে যৌন নিপিড়নের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ডাক্তার হেলাল আহম্মেদ লিটনকে গ্রেপ্তার করেন।
খাদিজার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে ২২ জানুয়ারি খাদিজাকে দাফনের পর খাদিজার মোবাইল ফোনে ওই ডাক্তার একাধিকবার ফোন করেন। কিন্ত আমি ফোন ধরিনি। কৌতুহলবশতঃ ফোন চেক করতে গিয়ে ফোনে পাওয়া যায় তাকে ধর্ষণের বর্ণনাসহ রেকর্ড। পরে বিষয়টি নওগাঁ সদর থানায় অবহিত করলে পুলিশ খাদিজার বাবাকে বাদি করে এ বিষয়ে একটি মামলা নিয়ে শুক্রবার পল্লি চিকিৎসক হেলাল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার ভোরে হেলাল আহমেদকে তার পাটালীর মোড়ের চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের জিঙ্গাসাবাদে খাদিজাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন ডা. হেলাল আহম্মেদ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়