শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২০
উত্তরের নওগাঁ জেলার মাঠে দিগন্ত জুড়ে এখন শুধুই হলুদের সমারোহ। সরিষার হলুদ ফুলের এই সমারোহ নয়ন জুড়িয়ে দেয়। যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য মনকে আবেগ আপ্লুত করে তোলে। এই সরিষার ফুল থেকে মধু আহরন করছে হাজার হাজার মৌমাছি।
চলতি শৈত প্রবাহ উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আশা করছেন কৃষকরা। অপরদিকে কৃষি বিভাগ বলছে বর্তমান বৈরী আবহাওয়া সরিষার ফলনে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধান ফসল বোরো ধান চাষের পূর্বে রবি শস্য হিসেবে সরিষার চাষ খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ জমিতে সরিষার চাষের পরই বোরো ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করা শুরু হয়।
এছাড়াও সরিষা চাষের পর ওই জমির উর্বরতা শক্তি, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও ওই জমির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। তাই পরবর্তি ফসল উৎপাদনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এই রবি ফসল সরিষা।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৪ হাজার ৩৫৭ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও চাষ হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে। জেলার ১১ উপজেলায় প্রায় প্রতিটি মাঠেই কম-বেশী সরিষার চাষ করা হয়েছে।
জেলার অধিকাংশ সরিষা চাষীদের সম্পূরক রবি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে সরিষার এইসব বীজ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তবে বন্যার পানি জমে থাকার কারণে কিছু কিছু নিচু জমি সময় মতো প্রস্তুত করতে না পারায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছর সরিষার আবাদ কিছুটা কম হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ সিরাজু ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি সরিষার ফলন ৬ থেকে সাড়ে ৬মণ হারে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সরিষার বাজার দরও বেশ ভালো। সরিষা চাষ পরবর্তি বোরো ধান চাষের জন্য অনেক উপকারী। সরিষা চাষের পর সরিষার গাছ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই সব মিলিয়ে একজন সরিষা চাষী বিঘা প্রতি ১০-১১হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।
বর্তমান আবহাওয়া সরিষার তেমন কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ শতকরা ৭০ভাগ সরিষার গাছে দানা এসে গেছে। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন তিনি।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়