শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯
ব্যবসায়িক মন্দাসহ নানা কারণে দেশের ৮০ ভাগ চালকল বছরের ৬ থেকে ৮ মাস বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৯৫ ভাগ মিল মালিক সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অব্যহত লোকসানে হ্যাসকিং মিলের পাশাপাশি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অটো চাল কলগুলোও। এতে ধানের নাজ্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়েছে কৃষক, পুঁজি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন রাইস মিল মালিকরা।
আজ দুপুরে নওগাঁয় জেলা চালকল মালিক গ্রুপ আয়োজিত হোটেল মল্লিকা ইন কনভেনশন সেন্টারে এক সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অটো মেজর হ্যাসকিং রাইস মিল মালিক সমিতির সাভাপতি আব্দুর রশিদ।
এছাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চালকল মালিক নেতারা যোগ দেন। সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম।
সভায় অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা ও সরকারী সংগ্রহে অনিয়মের কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ীরা বলেন, অসম প্রতিযোগিতা ও অনিয়ম দূর্নীতির কারনে লাভবান হচ্ছেন দেশের কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত মিলার ও ব্যবসায়ী। এ থেকে উত্তরনে ১০ দফা দাবী তুলে ধরেন মিল মালিক নেতৃবৃন্দ।
এতে মিলিং ক্যাপাসিটি সঠিক যোগ্যতার ত্তিতে নিধারন করা, ব্যাংক সুদের হার সিংগেল ডিজিটে নামানো, অপ্রয়োজনে চাল আমদানী না করা ও রাইস মিলকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার দাবীগুলো প্রাধান্য পায়। বৈঠকে মিলারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই কমিটি দাবিগুলো সরকারের উপড় মহলে তুলে ধরবেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ অটো মেজর হ্যাসকিং রাইস মিল মালিক সমিতির সাভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন- কৃষককে লাভবান করতে মিলারদের ঋণ সুবিধা বাড়াতে হবে।
স/শাহা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়