বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২০
নওগাঁর মহাদেবপুরে পল্লী বিদ্যুতের এক মিটার দিয়ে চলছে ক্ষুদ্র শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ অবৈধ সংযোগ।
স্থানীয়রা বলছেন, চাল কল থেকে মাটির নিচ দিয়ে পাশের ইট ভাটায় সংযোগ দিয়ে এ ভাবেই চলছে বছরের পর বছর। আর বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ এসেছে। দ্রুত ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় অবস্থিত কফিল এন্ড রাজ্জাক এগ্রো লিমিটেড। এ অটোমেটিক চাল কলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। সেই সমই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় এই চালকলটিতে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার ক্ষুদ্র শিল্পে প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ২০ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতি মাসে এ চাল কলে বিদ্যুৎ বিল আসে গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট। যার ক্ষুদ্র শিল্প অনুসারে বিল আসে ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর বানিজ্যিক হলে এর বিল আসতো ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
এই অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি দেয়া হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এই মোটা অংকের টাকা প্রতিষ্ঠানটি পল্লী বিদ্যুৎকে ফাঁকি দিয়ে চলছে বছরের পর বছর। অভিযোগ রয়েছে মহাদেবপুর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়েই চলছে এ অবৈধ সংযোগ।
ইট ভাটার শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, পাশের চাল কল থেকে ইট ভাটায় বিদ্যুৎ আনা হয়েছে মাটির নিচ দিয়ে। আর এ বিদ্যুৎই ব্যবহার হচ্ছে পুরো ইট ভাটায়। ইট ভাটার জন্য আলাদা কোন সংযোগ নেই।
ইট ভাটার ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, আপাতত চাল কলের বিদ্যুৎ দিয়েই চলছে ইট ভাটা। তবে ভাটার জন্য আলাদা সংযোগের আবেদন করা হয়েছে। নতুন সংযোগ পেলে চাল কলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাদেবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মচারী জানান, বর্তমান ডিজিএম আসার পরই এ অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। আর এর বিনিময়ে ওই চাল কল মালিকের কাছ থেকে আলাদা সুবিধা নেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন বর্তমান ডিজিএম শহিনুর ইসলাম আসর পর থেকেই এই অফিসে টাকা ছাড়া কোনই কজ হয় না।
মহাদেবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহিনুর ইসলাম জানান, কোন উৎকোচ বা সুবিধার নেওয়ার বিষয় নেই। তবে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ইট ভাটার জন্য নতুন সংযোগের আবেদনও করেছেন। ভাটাতে নতুর সংযোগ দিয়ে চাল কলের লাইন আলাদা করা হবে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অভিযোগ আকারে পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স/সা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়