মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ৫ ১৪৩০ ০৯ রমজান ১৪৪৫
নওগাঁ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নওগাঁয় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আম চাষিরা বলছেন, ঝড়ে আম গাছের প্রায় ৫০ শতাংশ আম ঝরে পরে গেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তারা এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করতে পারেনি।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম বাগানে বাগানে পরে আছে ঝরে পড়া আম। ফেটে নষ্ট হয়েছে এর অনেকগুলো। কোনো কোনো বাগানে আমের গাছ ঝরে উপড়ে পড়ে গেছে। ডাল ভেঙে পড়েছে অনেক গাছের।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ১ টা থেকে ২টার দিকে নওগাঁতে আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ৪ হাজার ৮০০ আম চাষির প্রায় ৭ হাজার বাগান রয়েছে।
প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয় ১৫ মেট্রিক টন। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সবোচ্চ ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৮৫ হাজার আম ঝরে পড়েছে। ভরা মৌসুমে আমের দাম ৪০ টাকা কেজি ধরলে এর দাম প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬০ ভাগেরও বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা ও সাপাহার উপজেলায়।
সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আমচাষি সাইফুর রহমান বলেন, ৪০ বিঘা জমির ওপর তার চারটি বাগান রয়েছে। ঝড়ে বাগানের ৩ হাজার গাছের অর্ধেক আম পড়ে গেছে। বেশ গাছ ঝড়ে পড়ে গেছে।
ঝরে পড়া আম ৩-৪ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। যে ফেটে গেছে সেগুলো কেউ কিনবে না।
সাপাহার উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, সাপাহারে এবার ৮ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হইছে। এবার এমনিতেই বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল।
তারওপর এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ঝরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো নিরূপণ করা যায়নি, তবে কিছু বাগান পরিদর্শন করে ধারণা হচ্ছে, আম গাছের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আম পড়ে গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আম চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ক্ষতির পরিমান নিরূপণের কাজ চলছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়