শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৯
নওগাঁয় আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত যুবক নওগাঁর সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের ফারাদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম দিনমজুরির পেশা ছেড়ে স্বপ্ন দেখেছিল বিদেশ গিয়ে পরিশ্রম করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভবিষ্যতে স্বচ্ছ জীবন-যাপন করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য যোগাযোগ হয় জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বাগাচারা গ্রামের আদম ব্যাপারী ওয়াহেদ আলী মন্ডলের সঙ্গে। এই আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আজ স্বর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে যুবক সিরাজুল ইসলাম। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই বসতবাড়ি, শ্বশুরবাড়ির জমিজমা বিক্রি করে এবং একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির মাধ্যমে আদম ব্যাপারীকে ১৬লাখ টাকা দিয়েছিল সিরাজুল ইসলাম। এর প্রমাণ হিসেবে আদম ব্যাপারী ওয়াহেদ আলী যুবক সিরাজুলকে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফাঁকা চেক প্রদান করে। আজ নয়, কাল এভাবে বছর পার হলেও সিরাজুলকে বিদেশ নিতে পারে না আদম ব্যাপারী ওয়াহেদ। পরবর্তী সময়ে গ্রামে একাধিক বৈঠক করেও যখন সিরাজুল তার টাকা তুলতে পারছিল না তখন সে ফাঁকা চেক দিয়ে আদালতে একাধিক মামলা করে। সেই মামলাগুলো বর্তমানে চলমান। এমতাবস্থায় মামলাগুলো তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী আদম ব্যাপারী বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি প্রদান করছে সিরাজুল ইসলামকে। দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম বলেন, গরিব সংসারের ভবিষ্যতের সুখের কথা ভেবে আমি সবকিছু শেষ করে বিদেশ যাওয়ার জন্য আদম ব্যাপারীকে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু আদম ব্যাপারী যে আমাকে ও আমার পরিবারকে এভাবে পথে বসাবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। টাকা পরিশোধ হওয়ার পর জানতে পারছি যে আদম ব্যাপারী ওয়াহেদ আমার মতো শতাধিক মানুষকে এভাবে ঠকিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে বেশ কিছু মামলা চলমান। কিন্তু সে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ তার কোন কিছু করতে পারে না। এখন আমি পরিবার নিয়ে কোথায় যাব। এদিকে আদম ব্যাপারী আদালতের মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদান করছে। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিরাজুল নওগাঁ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৪৬৫) করলেও আদম ব্যাপারী সিরাজুলকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়