বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নওগা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১
করোনা সংকট মোকাবেলায় দেশে একের পর এক চলছে বিশেষ বিধিনিষেধ, লকডাউন ও কঠোর লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। যে মানুষেরা প্রতিদিনের আয়ে সংসার চালাতেন তাঁরা আজ অনাহারে-অধ্যাহারে। এসব মানুষ পাচ্ছেন না সরকারি কোন সাহায্য সহযোগীতা। এমন পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এমন পরিবারের সংখ্যা নেহাত কম না।
ঠিক তেমনই নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের শিববাটি গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ৭ দিনের চলমান কঠোর লকডাউনে বেকার হয়ে পড়েন। পরিবার নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন তিনি। গত তিন দিন ধার-দেনা করে চললেও আজ অর্থের অভাবে তাঁর বাড়ির চুলাটি জলেনি। ঠিক এই সময় আজ (রোববার) দুপুরে হঠাৎই এক যুবক তাঁর বাড়িতে হাজির। হাতে একটি বাজারের ব্যাগ ও মুরগী। আশরাফুলের হাতে দিয়ে বলেন এটি আপনার জন্য। এমনি করে এমন অসহায় মানুষকে খুঁজে-খুঁজে হাতে ব্যাগ তুলে দিচ্ছেন ধামইরহাট মানবসেবা নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি রাসেল মাহমুদ।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে: একটি মুরগী, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, শাখ, লাউ, পোটল, তরই। কর্মহীন অসহায় পরিবারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই উপহার পৌঁছে দেয়া হয়। এ কাজে সহযোগিতা করেন ধামইরহাট মানবসেবা সংগঠনের সদস্যরা।
উপকারভোগী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্যাগ হাতে ওই যুবককে দেখে আমি প্রথমে বিচলিত হয়ে পড়ি। কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যাগটি আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেন এটি আপনার জন্য। আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু এই ব্যাগটিতে যে সদায় আমাকে দিয়েছেন তা আমার কতটা প্রয়োজন তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। আমি বিশ্বাস করি এটি আল্লাহ নিজে পাঠিয়েছেন এই যুবকের মাধ্যমে।
মানবসেব সংগঠনে সভাপতি রাসেল মাহমুদ জানান, আমরা কোন কিছু পাবার আশায় নায় আমরা যা কিছু করছি মানুষের উপকারের লক্ষ্যেই করছি। আমাদের সামান্য এই সহযোগীতায় যদি একটি পরিবারের মুখেও হাঁসি ফোটাতে পারি তা হলে সেটিই হবে আমাদের স্বার্থকতা।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, রাসেল মাহমুদের কর্ম কান্ডকে আমি সাধুবাদ জানায়। সে তার সংগঠনের পক্ষ থেকে যেসব কাজ করছেন তা নিঃসন্দেহে প্রসংসনিয়।সে চাইলে তাঁর এমন কাজে প্রশাসনের সহযোগীতা থাকবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়