বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১
নওগাঁ জেলার খাদ্য ভান্ডার ও আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলায় এবারে কৃষকের বাগানে বাগানে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি বাগানে যে হারে মুকুল এসেছে কোন রকম বালাই ছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারে আমের বাম্পার ফলন হতে পারে বলে একাধিক বাগান মালিক সহ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে। বাগান মালিকগন এখন থেকেই সকল প্রকার কীট পতঙ্গের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে বাগানে মুকুলেই কীটনাশক স্প্রে করে চলেছে। গাছে আমের মুকুল দেখে প্রতিটি বাগান মালিক নাওয়া খাওয়া ছেড়ে এখন থেকেই বাগানে সময় কাটাতে শুরু করেছেন।
উপজেলার অসংখ্য বাগান মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে আমের ব্যাপক ফলন হতে পারে বলে তারা আশা করছেন। সৃষ্টিকর্তা আবহাওয়া অনুকুলে রাখলে এবারে প্রতি বিঘা বাগানে তারা ১ লক্ষ থেকে সোয়া লক্ষ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন বলেও প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। সাপাহারে আমের বাগানে ব্যাপক হারে ফলনের জন্য গাছের অপুরনীয় ক্ষতিকারক ভারতীয় হরমোন জাতীয় ঔষধ কালটার ব্যাবহারের বিষয়ে একাধীক বাগান মালিকদের সাথে কথা হলে তারা এখনও ওই ঔষধটির নাম শোনেই নি। এছাড়া সাপাহারের মাটিতে প্রতিবছর যে হারে আমের মুকুল ও ফলন হয়ে থাকে তাতে করে ওই হরমোনের কোন প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার সহ: উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আতাউর রহমান সেলিম সহ কৃষি বিভাগের সকল মাঠ কর্মকর্তাগণ, হাইজানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি আম ব্যাগিং, বাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে ও পরিমিত পরিমান কীট নাশক স্প্রে করে আম চাষের জন্য বাগান মলিকদের পরামর্শ দিয়েছেন। সে মতে অনেক বাগান মালিক এখন থেকেই তাদের বাগানগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সহ কীটনাশক ব্যাবহারের লক্ষ মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন। কোন কারণে আমের বাজারে দরপতন ঘটলে সাপাহার উপজেলার আমচাষীগন অপুুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। তাই তারা ও উপজেলাবাসী ব্যক্তিগত উদ্যোগ কিংবা সরকারী ভাবে অচিরেই উপজেলায় একটি জুস জেলীর কারখানা বা একটি বৃহত্তম আম সংরক্ষণাগার/হিমাগার নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার মুজিবুর রহমান জানান, এবারে উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল সহ বিভিন্ন জাতের তৈরী কৃত আম বাগান থেকে প্রায় ১,২৬,ooo হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়