শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় একশতটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১ টি বিদ্যালয় ভবনকে ঝঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাত্র ২০-২২ বছর আগে নির্মিত এসব ভনবগুলো ফাটল ধরে প্লাস্টার ও কংক্রিট খুলে পরায় ইতি মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিনিত হয়েছে। যে কোন মূহুর্তে এসব ভবন ধ্বসে পরে বড় ধরনে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতংক আর উৎকন্ঠা নিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়া অনেক ভবন রয়েছে যেগুলো টিনসেড দ্বাড়া নির্মিত। ঝরের কারনে যে কোন মর্হুতে ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় মোট একশতটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে কোথাও মাটির ঘড় আবার কোথাও টিনসেড কিম্বা বাঁশের কুঞ্চির বেড়া দ্বাড়া নির্মিত কক্ষে পাঠদান করা হতো। শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ১৯৯৪-৯৫ ইং সাল নাগাদ বিদ্যালয়ের মাটির ঘড় কিম্বা টিনসেডের ঘড় ভেঙ্গে এক তলা ভবন নির্মান করা হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, ভবন নির্মান কালে নিন্মমানের সামগ্রি ব্যবহার ও ঠিকাদারের অদক্ষতার কারনে মাত্র ২০-২২ বছরের মধ্যেই কোন কোন ভবনের সিলিং এবং কিছু কিছু অংশে প্লাস্টারসহ কংক্রিট খুলে পরে যাচ্ছে। আবার কোন কোন ভবনের বীম ও সিলিংসহ ওয়ালে ফাটল ধরেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে যা বাঁশের কুঞ্চির বেড়া কিম্বা টিন সেড দ্বাড়া নির্মিত। এসব ঘড় ঝরের কারনে যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মানের আবেদন পরতে থাকলে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ঝুকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে রাণীনগর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসে প্রেরণ করা হয়।
এর পর তালিকা মোতাবেক ভবনগুলো পরিদর্শন শেষে কসবা, মাঝগ্রাম মধুপুর, হরিশপুর, গুয়াতা, রাতোয়াল, শিয়ালা, সিংড়াডাঙ্গা, বোদলা, ধনপাড়া, বড়গাছা, গোনা, স্থল, নিজামপুর এবং এন,জি,এস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৪১টি বিদ্যালয় ভবন ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এব্যাপারে কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান, গুয়াতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সব সময় আতংক আর উৎকণ্ঠা নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। খুব দ্রুত এসব বিদ্যালয়ে নতুন ভবন বরাদ্দের দাবি জানান শিক্ষকরা।
এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, ইতি মধ্যে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি তালিকাসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়