শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
নওগাঁর বদলগাছী উপজেহলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরম ডাক্তার সংকটে দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। একই সাথে মারাত্নক ডাক্তার শূন্যতা রোগে ভুগছে হাসপাতালটি । ফলে রোগীর আগে জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
ডাক্তার সংকটের কারণে ১৭ ঘন্টা ডাক্তার শুন্য থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে উপজেলাবাসী বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কানিস ফারহানা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন এবং মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহবুব আলী ও ডাঃ সামছুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ডাক্তার কানিস ফারহানা এবং সামছুল আলম নওগাঁ সদরে ও মাহবুব আলী রাজশাহী শহরে অবস্থান করেন।
তারা তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সকাল ১০টা থেকে ১১টায় বদলগাছী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বৈকাল ৫ টায় আবার তিন জন নওগাঁ এবং রাজশাহী সদরে চলে যান। এর পর থেকে পরের দিন সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত ১৭ ঘন্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডাক্তার শুন্য অবস্থায় থাকে।
ডাক্তার শুন্য ১৭ ঘন্টা অবস্থায় অন্তঃবিভাগ (ভর্তি), বহিঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে উপ সহকারী মেডিক্যাল অফিসার। অর্থাৎ ২ জন ডাক্তার দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি খুড়ে খুড়ে চলছে । ডাক্তারদের কর্ম তালিকা অনুযায়ী ২১ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদ রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক) ডাক্তার রতন কুমার সিংহ ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর যোগদানের পর ডেপুটেশনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিস ফারহানার কার্যালয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান উপরোল্লিখিত মাহবুব আলী ও সামছুল আলম রাজশাহী ও নওগাঁ অবস্থান করে। তবে কোয়াটারে থেকে পালাক্রমে আড়াই দিন অর্থাৎ ৫৬ ঘন্টা করে তারা ডিউটি করেন।
এছাড়াও তিনি বলেন সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শু্ক্রবার এই তিন রাত প্রায় ৪৮ ঘন্টা হাসপাতালটি ডাক্তার শুন্য থাকে। শুন্যকালীন উপ-সহকারী অফিসাররা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন এবং ডাক্তার সংকট জনিত কারণে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেওয়া যায় না।
প্রতিমাসে রোগির সংখ্যা ও চিকিৎসা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গত আগষ্ট মাসে বহির্বিভাগে ৩হাজার ৮শ ১৮ জন, অন্তবিভাগে ৪শ ২৪ জন ও জরুরী বিভাগে ৯শ ৭৭জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত বাকী ১৯ জন ডাক্তার না থাকায় কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডেন্টাল চিকিৎসক ডাঃ ফেরদৌস আমিন ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে কর্মস্থলে নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে ডেন্টাল চিকিৎসকের কক্ষটি ৫ বছর থেকে তালা ঝুলানো রয়েছে। এতে করে ডেন্টাল চিকিৎসার যন্ত্রাংশগুলি মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুমোদিত পদ অনুযায়ী ডাক্তার জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন মহল ।
স/শাহা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়