বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২০
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বসহ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।
নওগাঁর সব থেকে বড় দু’টি হাট সাপাহার উপজেলার দিঘির হাট এবং মান্দা উপজেলার চৌবারিয়া হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে প্রচুর পশু আর ক্রেতা-বিক্রেতা। দু’জন মানুষের দাঁড়ানোর জায়গায় দাঁড়িয়েছে পাঁচজন।
একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেউ করছেন পশুর দরদাম। আবার কেউবা পশু কিনে তুলছেন পরিবহনে। এদের অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক।
কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে, কারও বা আবার রাখা আছে পকেটে। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনা-বেচা চলছে নওগাঁর এসব হাটে।
দিঘির হাটে গরু বিক্রি করতে আসা নওগাঁর সাহাপার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের এনামুল হক। ৫৮ বছর বয়সী লোকটির মুখে নেই মাস্ক।
কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে এনামুল বলেন, মাস্ক আছে তবে বাড়িতে। গরু নিয়ে আসার সময় ধাক্কাধাক্কিতে মাস্ক নিতে মনে নেই। তাছাড়া এক সঙ্গে এত মানুষের ভিড় থাকায় যে গরম পড়েছে, তাতে মাস্ক পড়ে থাকা যায় না।
হাটে পশু কিনতে আসা আনিছুর বেপারী বলেন, শত শত মানুষদের মধ্য কীভাবে এতসব নিয়ম মেনে চলা যায়। নিয়ম না মানলে জীবনের ঝুঁকি আছে ঠিক, তারপরও ব্যবসা তো করতেই হবে।
হাট ইজারাদার বা স্থানীয় প্রসাশনের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। হাটগুলো নিয়ে প্রশাসন যদি একটু সচেতন হতো, তাহলে কিছুটা হলেও মানুষ নিয়ম-নীতি মেনে চলতো।
হাটের চারপাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী খাবার হোটেলও নেই স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো চিত্র। এক টেবিলেই বসে গাদাগাদি করেই খাবার খাচ্ছেন হাটে আসা মানুষজন।
দিঘির হাট ইজারাদার রফিক বলেন, করোনার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সবাইকে মাস্ক পরিধান করে হাটে আসার জন্য এসব এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এই আইন মানছেন না।
এখন তারা যদি এসব আইন না মানেন, এক্ষেত্রে আমাদের কী করার থাকতে পারে। তবে আমরা পশু ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সব ব্যবস্থা রেখেছি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়