বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯
ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নওগাঁর পত্নীতলায় বোরো ধান ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুইদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবণ যাত্রা অচল হয়ে পড়ে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মানুষ ঘর হতে বের হতে পারেনি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ো হাওয়ার কারণে চাকুরীজীবিরা কর্মস্থলে যেতে পারেনি। মাঠের উঠতি কলাপাকা বোরো ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ধানের ফলন বিপর্যয় হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে উপজেলার দোচাই, বরহট্রি, রঘুনাথপুর গ্রামে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ভাগ মাঠের আধা-পাকা উঠতি বোরো ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। মাঠে জমে যাওয়া পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে ধান। রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ জানান, তিনি ১০বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন যার ৭০ভাগই পড়ে গেছে। এ সকল ধানের অর্ধেক ফলন পাওয়া যাবে। দ্রুত পানি না সরালে কিংবা পাকা ধান কাটতে না পারলে এসব ক্ষেতের সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। দোচাই গ্রামের কৃষক রনি জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ঝড়ের কারণে প্রায় ১০ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধান ছাড়াও পটল, করল্লা, পেঁপে, কলার ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও এলাকার একাধীক কৃষক জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ঝড়ের কারণে মাটিতে ধান পড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে। কৃষকদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন যত তারাতারি সম্ভব ধানের জমিতে জমে থাকা পানি অপসারন করতে হবে। তাহলে ক্ষতির পরিমানটা তুলনামূলক অল্প হবে। তিনি আরো বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা এবং পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলেও উপজেলা প্রশাসন হতে পূর্ব সর্তকর্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে প্রাণহানীর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়