বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২
চরম দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে নওগাঁয় গাছ থেকে আম ঝরে পড়ছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আমচাষিরা।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছের নিচে প্রচুর আম পড়ে আছে। চলতি বছর পর্যাপ্ত গুটি আসলেও অতিরিক্ত খরার কারণে সেসব গুটি গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। এছাড়া গাছে থাকা আমগুলোতে কালো দাগ দেখা যাচ্ছে। রসের অভাবে আমের বোঁটাগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। ধারণক্ষমতা না থাকায় বোঁটা থেকে আম খসে পড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় আমের আবাদ হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। এই মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন।
উপজেলাভিত্তিক আমচাষের পরিমাণ ধরা হয়েছে- সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর, সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর, নিয়ামতপুরে এক হাজার ১৩৫ হেক্টর।
সাপাহার উপজেলার আমচাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি প্রায় ১২ একর জমিতে আমচাষ করেছি। প্রচণ্ড খরার কারণে আম ঝরে যাচ্ছে। গাছে পানি দেওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তারপরও ক্রমান্বয়ে গভীর নলকূপ থেকে সেচের ব্যবস্থা করছি। কিন্তু সব জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব নয়। যার কারণে অনেক লোকসান হতে পারে।
ওই উপজেলার আরেক আমচাষি মাহফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ভালো মুকুল ছিল। গুটির পরিমাণও ভালো ছিল। কিন্তু অনাবৃষ্টিতে আমের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বৃষ্টি নেই, রোদে পচন ধরে আম পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বৃষ্টি না হওয়া আমের আকার অনেক ছোট রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে প্রতিটি গাছের গোড়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি দিতে হবে। সেইসঙ্গে আমগাছে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। গাছের গোড়ায় এবং গাছে স্প্রে করে পানি দিলে আম ঝড়া কিছুটা রোধ হতে পারে। অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, শঙ্কার তেমন কোনো কারণ নেই। বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করে চলতি মৌসুমে আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। আর এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়