শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০
নওগাঁর ধামইরহাটে আলুর ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি পেয়ে খুশি হাজারো কৃষক। কৃষকরা আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করছে। এতে আমন ধান চাষে ঘাটতি অর্থ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফলস উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, নওগাঁর আদি রবেন্দ্র ভূমি হিসেবে পরিচিতি ধামইরহাট উপজেলা। এখানে মূলত ধান চাষ হয়। কিছু এলাকায় শাক সবজিরও চাষ হয়ে থাকে। গত ইরি বোরো এবং চলতি আমন মওসুমে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। অনেক কৃষক ধান চাষ ছেড়ে দেওয়ার সিন্ধান্ত ও নেয়। কিন্তু কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় অনেক কৃষক এবার জমিতে আলু চাষ করেন। বর্তমানে আলু খেত থেকে ওঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকার পাইকাড়রা জমিতে গিয়ে গাছসহ আলু ক্রয় করে পাইকাড়দের শ্রমিক দিয়ে আলু উত্তোলন করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৩শত ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। ২৩৫ হেক্টর পাকড়ী সাদা,লাল জাত এবং ৩৪৫ হেক্টর এস টেরিক্স (স্থানীয় ভাষায় স্টিট),৪৮০ হেক্টর রোমানা,২৭৫ হেক্টর কাটিনাল,২৪৫ হেক্টর গ্যানোলা, ২০৫ হেক্টর ক্যারেজ এবং ১৭৫ হেক্টর জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জাতের আলুর চাষ হয়েছে। পরিপক্ক হওয়ায় মাঠ থেকে আলু ওঠতে শুরু করেছে কৃষকরা।
উপজেলার ধানতাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাজেদুর রহমান বলেন, ইরি বোরো ধান কাটার পর তিনি ১একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। মাত্র ৬৫ দিনের মধ্যে আলু পরিপক্ক হয়েছে। পাইকাড়রা তার এক একর জমির আলু খেত থেকে ৭৫ হাজার টাকা কিনে নিয়েছেন। আলু চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে তিনি ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে ওই জমিতে তিনি ইরি বোরো ধান রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, বিগত ইরি বোরো ও আমন মওসুমে কৃষকগণ ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখিন হন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকদেরকে আলুসহ অন্যান্য শাক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বাজারে আলুর দাম ভালো পেয়ে কৃষকগণ বেশ উপকৃত হয়েছে। বর্তমানে এলাকার কৃষকগণ একই জমিতে বছরে তিন ফসল উৎপাদন করছেন।
স/সা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়