শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মাঠের অদক্ষ, অজনপ্রিয় ও তরুণ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরে সমালোচনা তুঙ্গে। এই সমালোচনার মধ্যেই উঠে আসলো নতুন তথ্য। বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী- তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন দু’জনই ধর্ম-কর্মে উদাসীন বলে জানা গেছে। ভোটার আকর্ষণ করতে নির্বাচনের আগে শিবির স্টাইলে দাঁড়ি রেখেছেন ইশরাক। আর ভোট পেতে নতুন করে ইসলামি শিক্ষা দিচ্ছেন মদ, নারী ও অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত তাবিথ আউয়াল।
বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দীর্ঘদিন লন্ডন ছিলেন ইশরাক হোসেন। সেখানে বিলাসী ও বেহিসাবি জীবন যাপন করতে গিয়ে ইসলামী ভাবধারা ভুলে গিয়েছিলেন। ইশরাকের এমন দেউলিয়া জীবন যাপনে ক্ষুব্ধ ছিলেন খোদ তার বাবা সাদেক হোসেন খোকা। তবে ২০১৮ সালে লন্ডন থেকে তারেক রহমানের গোপন নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে সিটি নির্বাচনে নিজেকে প্রস্তুত করতে এবং সাধারণ ভোটারদের সহানুভূতি পেতে তিনি ইসলামী ভাবধারাকে আশ্রয় করে ছোট ছোট দাড়ি রাখা শুরু করেন।
তবে ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভোট পেতেই ইশরাকের এই কৌশল কাজে লাগবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সত্য উন্মোচিত হওয়ায় বুমেরাং হয়েছে ইশরাকের কৌশল।
অন্যদিকে একটি সূত্রের মারফত জানা গেছে, দেশে-বিদেশে ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করায় ঠিকমতো বাংলা বলতে পারেন না তাবিথ আউয়াল। বিদেশি সংস্কৃতি চর্চা কারণে অতীতে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন, মদ ও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গণমাধ্যমের হেডলাইনও হয়েছিলেন তাবিথ। বাবা-মাও বিদেশি সংস্কৃতি চর্চা করায় পরিবারে ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে জড়িত কুখ্যাত আউয়াল পরিবারের সদস্য তাবিথ সিটি নির্বাচনে ভোট পেতে এবং সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পেতেই এরইমধ্যে ঘরোয়াভাবে ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করছেন। নামাজ ও সুরা শিখছেন।
তবে এই ইসলাম শিক্ষা শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য হওয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির একটি অংশে। ধর্মকে রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় ইশরাক ও তাবিথের বিরুদ্ধে দলের ভেতর চলছে নানা সমালোচনা। বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিএনপি এই সিটি নির্বাচনে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নীতি-নির্ধারকরা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়