শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নওগাঁ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০
নওগাঁর বদলগাছী নির্মাণের পরই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জবির উদ্দিন ও ডি এম এনামুল হক বলেন, ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দে তিনতলা ভবনটি আমরা ব্যবহার করছি ২০১৮ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে। কাজের গুণগত মান নিম্নমানের হওয়ায় সাবেক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে।
দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর জোগসাজসে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ বুঝে দিয়ে পাড়ি জমায়। ফলে নির্মাণের পর থেকেই ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা জানায় বাতাসে থাই গ্লাস খুলে পড়ে। তিন তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স ভবনের নিম্নমানের থাইগ্লাস ব্য্যবহার করা হয়েছে এবং সেটিং ভালো না হওয়ায় থাই গ্লাস নরবর করে।
বৃষ্টির পানি চুয়ে ঘরে পড়ে। ডেপুটি কমান্ডার কক্ষের থাই গেট লাগে না। বৈদ্যুতিক বাল্বের হোল্ডার, স্ইুজ বোর্ড, সুইজ, ফ্যান রেগুলেটর নিম্নমানের। টয়লেট বাথরুমের কোমট সংযোগ পাইপ, বেসিন খুবই নিম্নমানের যা ব্যবহার করতে লাগলে খুলে যায়। ভবনের প্রথম তলার কড়িদোরের পূর্বদিকের থাই গ্লাস বাতাস লেগে খুলে পড়ে ভেঙ্গে যায়। বিদ্যুৎ মেইন সুইজ বোর্ড নিম্নমানের।
সাবমারছিবল মটরের ফিটিং পাইপ লাগানো হয়নি। সেটিং দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের আইপিএস ও জেনারেটর যা শুরু থেকেই বিকল। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, সুযোগ সন্ধানী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। সে সমস্যাগুলি সমাধান না করেই অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। তারা আরো জানান, একতলা থেকে দুতলা পর্যন্ত একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন হাইস্কুলকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করে কিছু কিছু সমস্যা সমাধান করেছে।
এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী মকলেছুর রহমান এর নিকট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সার্বিক তথ্যাবলী জানতে চাইলে তিনি তথ্য দিতে আদেশ করেন তার অফিসের হিসাব রক্ষক আমজাদ হোসেনকে। আমজাদ হোসেনের নিকট তথ্য নিতে গেলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না বলে অস্বীকৃতি জানান। এই হিসাব রক্ষক দীর্ঘদিন থেকে এই উপজেলায় রয়েছে। নয় ছয় মিলাতে কীভাবে হিসাব কষতে হয় তা তিনি জানেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির বলেন, আমি আসার আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাজ হয়েছে। তবে যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়