বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
কামরুল হাসানের বয়স ২৫ বছর। লেখাপড়া করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)। তার সাথে দেখা হয় নগরীর আলপট্টী মোড়ে। শনিবারের ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, রাজধানীর দুই সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন হচ্ছে। যেটির মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির কোনো সুযোগ থাকে না। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। আমাদের দেশে এবারই প্রথম। গতবারের সংসদ নির্বাচনে ইভিএম থকলে জীবনের প্রথম ভোটটা হয়তো ইভিএম এ দিতে পারতাম।
কামরুল হাসানের মতো এমন রাজশাহীর অনেক তরুণের শনিবারের সন্ধ্যার আলোচনায় ছিলো ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন। তাদের আলোচনার কেন্দ্রেও রয়েছে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। রাজশাহীর তরুণদের মতে ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা বেড়েছে। যেটির ব্যবহার আরো আগে থেকে শুরু করার প্রয়োজন ছিল।
নগরীর মোনাফের মোড় এলাকার মিফতাহুল জান্নাত বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচারণার পর আজ ভোটের মাধ্যমে রাজধানীবাসীদের নগর পিতাদের নির্বাচিত করবেন। তাদের ভোটে নির্বাচিতদের হাতে ধরে এগিয়ে যাবে রাজধানী। আমার চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দুপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর তাপস বিজয়ী হবে।
সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে কেনাকাটা করতে আসা লিয়ন সরকার বলেন, সনাতন পদ্ধতির চেয়ে ইভিএম সহজ। যে প্রার্থীকে ভোট দেবে তার মার্কার পাশের বাটনে চাপ দিয়ে, কনফার্ম বাটন চাপলেই ভোট হয়ে যায়। আগের ভোটগুলো যেভাবে দেখেছি তার চেয়ে ইভিএমে ভোট দেয়াতেই বেশি ভালো এবং সহজ। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন সুন্দর নির্বাচনের আয়োজন করায়।
শুধু কামরুল হাসান, মিফতাহুল জান্নাত ও লিয়ন সরকার নয় গোটা রাজশাহীর তরুণরাই ইসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ঢাকার দুই সিটিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য।
প্রসঙ্গত, সকাল ৮টায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়