শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০
নওগাঁর রাণীনগরে বেড়ে চলেছে ড্রাগন ফলের চাষ। মুখরোচক রসালো এই ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষক দিন দিন এই ফলের চাষের ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ফলটি যাচ্ছে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছেন, বাংলাদেশে বিদেশি এই ফলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, একটি ড্রাগন ফলের গাছ ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং বছরে ৬ মাস ফল দেয়। সাধারণত মে মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফুল আসার ৩৫ দিনের মধ্যেই এই ফল খাওয়ার উপযোগী হয়।
উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে এই ফল বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব।
বর্তমানে উপজেলার সাড়ে চারহেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ কৃষকদের কৃষি অফিস ড্রাগনের চারা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
জমিতে একই ফসল চাষ করার অভ্যাস থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে এনে অধিক লাভজনক ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি অফিস কাজ করে যাচ্ছে।
এই ফসলগুলো চাষ করলে একদিকে কৃষকরা যেমন কম খরচে ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করতে পারেন, অপরদিকে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। উপজেলার অনেক তরুণ পড়ালেখার পাশাপাশি বর্তমানে এই লাভজনক ড্রাগন ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের রঞ্জনিয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. নাইস জানান, পড়ালেখা শেষ করে প্রায় ৯ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেছি। ড্রাগন চাষ করে আমি অনেক লাভবান হয়েছি।
সরকার যদি এই ফলটি বিদেশে রপ্তানি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাহলে আগামীতে ড্রাগন ফল চাষীরা আরো অনেক লাভবান হবেন। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ৪০০-৪৫০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, ২০১২সাল থেকে উপজেলাতে ড্রাগন ফল চাষের নীরব বিপ্লব শুরু হয়। এখন ড্রাগন উপজেলার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফলের নাম। প্রতিদিনই কৃষকরা কৃষি অফিসে এসে ড্রাগন ফল সম্পর্কে জেনে যাচ্ছেন।
এছাড়াও এই বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়াও বাগান মালিকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান ও খোঁজখবর রাখছি। আশা রাখি একদিন দেশের মধ্যে রাণীনগর উপজেলা ড্রাগন ফল চাষে দৃষ্টান্তর স্থাপন করবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়