শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা থেকে বিভাগীয় শহর রাজশাহী যাওয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ সড়ক মেরামত না করায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। ফলে রাস্তাজুড়ে এখন শুধু খানাখন্দ। এতে সড়কে যান চলাচলসহ সড়কটি ব্যবহার অনেককাংশে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় শত শত যানবাহন।
দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেহাল দশা হয়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আত্রাই উপজেলার দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক।
দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই সীমানা থেকে বাগমারা সীমানা পর্যন্ত এই সড়কের অধিকাংশই স্থান কার্পেটহীন হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। একটু বৃষ্টি হলেই এতে জমে পানি। ফলে আরও দুর্ভোগ বাড়ে। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও তা আজও মেরামত হচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন ছোটবড় যানবাহন। এতে একের পর এক দুর্ঘটনাও ঘটছে। ঘটেছে প্রাণহানীর ঘটনাও। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি রাজশাহী বিভাগীয় শহরের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এ সড়কটি ছাড়া বিকল্প তেমন কোন পথও নেই। আত্রাই উপজেলাসহ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। মৎসভান্ডার খ্যাত উপজেলার স্টেশন মাছ বাজার, ঐতিহ্যবাহী আহসানগঞ্জ হাটসহ কয়েকটি হাট ও বাণিজ্য কেন্দ্র থাকায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইজিবাইক, ট্রাক, ট্রলি, সিএনজি, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার শত শত যানবাহন চলাচল করে।
সড়কের পার্শ্ববর্তী বাগমারা অংশের সংস্কার কাজ হলেও এখনও পর্যন্ত আত্রাই অংশের সড়ক দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন এলাকার হাজার হাজার পথচারী।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এসব শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ সড়কের অটো চালক মুনির বলেন, রাস্তার এ দুর্দশার কারণে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় গাড়ি চালাই। এখানে গাড়ি চালাতে গিয়ে একদিকে সময়ের অপচয় অপরদিকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রায়ই নষ্ট হয়ে গাড়িরও অনেক ক্ষতি সাধিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারি টিপু সুলতান বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমাকে রোগি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় অতিরিক্ত সময় ও কষ্ট দুটোই হয়। এ রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রোগীর সাথে আমাদেরকেও রোগী হয়ে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক পথচারীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থা অমি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরছি খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়