জন্মশতবর্ষে সার্বজনীন বঙ্গবন্ধু
ড. মিল্টন বিশ্বাস
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২০
সর্বতোভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার অবসান ঘটাতে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন। ছাত্রজীবনের শুরু থেকে বাস্তব সমাজে কাজের অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেন। রাজনীতিতে জড়িত হয়েছিলেন দেশের মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য। কর্মী থেকে হয়েছেন জাতির পিতা।
জন্মশতবর্ষে এসে বলতে পারি যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) আদর্শের প্রচার বেড়েছে। কারণ তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি- বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানি শাসকদের জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে উৎসর্গীকৃত প্রাণ, সদাব্যস্ত সেই মহান ব্যক্তি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও জীবন্ত। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান তরুণ প্রজন্মের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টাকে সেই জীবন্ত মহাপুরুষের আদর্শের ধারাবাহিকতা হিসেবে গণ্য করা যায়।
সম্পর্কিত খবর
বঙ্গবন্ধু সর্বতোভাবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার অবসান ঘটাতে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন। ছাত্রজীবনের শুরু থেকে বাস্তব সমাজে কাজের অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেন। রাজনীতিতে জড়িত হয়েছিলেন দেশের মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য। কর্মী থেকে হয়েছেন জাতির পিতা।
গণমানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। কর্মনিষ্ঠ, ধৈর্য, সংগ্রামী চেতনা, আপসহীনতা আর অসীম সাহসিকতার জন্য যুগস্রষ্টা নেতা হয়েছিলেন তিনি। পূর্ব বাংলার ইতিহাস গড়েছেন তিনি। কারাগারে বছরের পর বছর বন্দি মুজিবের বাঙালিদের স্বার্থরক্ষার প্রচেষ্টা ছিল অসামান্য। পারিবারিক ও সাংসারিক জীবনে নির্বিকার সময় কাটিয়েছেন খুব অল্প কাল। বলা যায়; ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। স্বৈরশাসকদের তাঁবেদারি করেননি, নিটোল সুখের জীবনও তার ছিল না। একইভাবে ভাষা-আন্দোলনের সময় থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকার অর্জন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য সংগ্রামে শামিল হয়েছিলেন শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি-নাট্যকার ও সমাজের অন্যান্য সংবেদনশীল জনগোষ্ঠী। একুশ কেন্দ্রিক কবিতা, গল্প, গান, নাটক যেমন এর দৃষ্টান্ত তেমনি অন্যসব গণ-আন্দোলনের অভিঘাতে আলোড়িত শিল্পীর রচনা ছিল উলেস্নখযোগ্য। ফলে বঙ্গবন্ধু শিল্পী-সাহিত্যিক ছাড়াও পর্যটক, সাংবাদিক সবাইকে আকর্ষণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের অভু্যদয় এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে 'বঙ্গবন্ধু' একটি প্রভাব বিস্তারি শব্দ। স্বাধীনতার আগে ভাষা-আন্দোলন এবং পরবর্তী সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের এমন কোনো বিষয় নেই যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল না। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি-সমাজ-সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান ছিলেন। তিনি মানুষের চৈতন্যে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং মানুষ তার সম্পর্কে কিছু না কিছু বলে আত্মতৃপ্তি অর্জন করেছে। ভারতীয় সাহিত্যে মাহাত্মা গান্ধী যেমন মানুষের কাছে লেখার উৎস ও প্রেরণায় পরিণত হয়েছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধু অনেক লেখককে কেবল নয় দেশের শিল্প-সাহিত্যের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুতে উন্মোচিত হয়েছেন। তাকে কেন্দ্র করে কবির চেতনা-মননে অব্যক্ত বেদনার নির্ঝর নিঃসরণ হয়েছে। আবার বাংলা শিল্প-সাহিত্যে তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রকাশ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
আমাদের দুঃখ বাংলাদেশের সাহিত্যে 'বঙ্গবন্ধু-যুগ' নাম দিয়ে একটি সময়-পর্ব এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। অথচ ভারতীয় সাহিত্যে 'গান্ধী-যুগ' বলে একটি কালপর্ব নির্দিষ্ট হয়েছে। বিশেষত ১৯২০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সাহিত্যের দু'যুগের বেশি সময় 'গান্ধী-যুগ' হিসেবে চিহ্নিত। কেন এই চিহ্নিতকরণ? কারণ এই মহামানবের জীবন ও কর্মের ব্যাপক প্রভাব। ভারতের এমন কোনো ভাষা-সাহিত্য-শিল্পকর্ম নেই যেখানে গান্ধীজি নেই। সেই তুলনায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে অপ্রতুল হলেও এই স্বাধীনতার মহানায়কের জীবন ও কর্ম আমাদের কবি-সাহিত্যিকদের চেতনায় নাড়া দিয়েছে। বিশেষত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পটভূমি বিপুলসংখ্যক কবি-সাহিত্যিককে আন্দোলিত করেছে। মহানায়কের কথা, কাজ, শখ, বাগ্মিতা, বক্তব্য, তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সবকিছুরই দ্বারা আলোড়িত হয়েছেন সৃজনশীল ব্যক্তিরা। বাগ্মিতায় জনগণকে মুগ্ধ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল বঙ্গবন্ধুর। সে জন্য সামাজিক মানুষের হৃদয়ে প্রবেশে তার কষ্ট করতে হয়নি। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহজ-সরল মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু; তাতে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। গান্ধীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে প্রভাব জনগণের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল, চেতনাকে করেছিল পরিশুদ্ধ, ধারণা দিয়েছিল পাল্টে। তিনি হয়ে উঠেছিলেন সাহিত্য-চলচ্চিত্র-কবিতার মুখ্য উপাদান। ১৯৮২ সালে নির্মিত জরপযধৎফ অঃঃবহনড়ৎড়ঁময-এর 'গান্ধী' চলচ্চিত্রটি পৃথিবীব্যাপী মানুষকে আন্দোলিত করেছিল। ইংরেজিতে লেখা মুলক রাজ আনন্দ, রাজা রাও, আর কে নারায়ণের উপন্যাস পড়ে এ ছবির নির্মাতা গল্পের উপকরণ সাজিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের ছবি বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি। তবে গান্ধী যেমন ভারতের ভাষা-সাহিত্যকে নতুন উদ্দীপনায় মুখরিত করেছিলেন তেমনি বাংলা সাহিত্যকে বঙ্গবন্ধু তার চিন্তা ও জীবনযাপন দিয়ে সচকিত করে তুলেছিলেন। তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনা গল্পের প্রয়োজনে পুনর্বিন্যস্ত হয়েছে। অধিকাংশ গল্প-উপন্যাস ঘটনাকেন্দ্রিক হলেও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত পরিস্থিতি, তার রাজনৈতিক আদর্শ, মানুষের জন্য ত্যাগের মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। গ্রাম-বাংলার সহজ-সরল মানুষের কাছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে তার মৃতু্য ছিল হাহাকারের; সেই অবস্থা তুলে ধরেছেন সাহিত্যিকরা। যদিও কোনো গল্প-উপন্যাসে 'মুজিববাদে'র অনুপুঙ্খ রূপায়ণ নেই তবু একটি 'আদর্শ বাঙালি রাজনৈতিক' জীবনকে কেন্দ্র করে প্রভূত আখ্যান গড়ে উঠেছে। নাগরিক মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে লোকায়ত মানসে মুজিব চিরন্তন হয়ে ওঠার কাহিনিও তৈরি হয়েছে। এই মহানায়ক জীবনকে গড়ে নিয়েছিলেন বাঙালি ঐতিহ্যের পরিপূরক করে। আর শ্রমজীবী মানুষের প্রাণের নেতা হওয়ার জন্য তাকে হাসিমুখে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছিল। সাধারণ জনতার কাছে তার পৌঁছে যাওয়া এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তার চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিল যাত্রায়, পালায়, কীর্তনে। গান্ধীজি ভারতবর্ষকে 'সীতা মা'তে পরিণত করেছিলেন আর ব্রিটিশ শাসককে করেছিলেন রাবণের প্রতীক। রামায়ণের ধারণা ঢুকিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে করেছিলেন প্রসারিত কেবল ধর্মভাবকে কাজে লাগিয়ে। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু সাধারণ জনতার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মানুষের অধিকারের কথা বলে। এ জন্যই জীবদ্দশায় ও মৃতু্যর পরে তার জীবন, আদর্শ, মতবাদকে কেন্দ্র করে অজস্র কবিতা লেখা হয়েছে। চিত্রকলা ছড়িয়ে পড়েছে তার অভিব্যক্তিকে কেন্দ্র করে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা সামনে কোনো বিকল্প দেখতে পাননি। এ কারণে তারা ১৯৭৭ সালের পর সরাসরি বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে। এঁদের মধ্যে অনেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রও ধরেছেন কোনো কোনো লেখক। আর সে সময় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন সংগোপনে। তারই পরিণতিতে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেই সাহিত্যে নতুন চিন্তার অঙ্কুরোদগম হয়েছে। ধনী থেকে গরিব, জ্ঞানী থেকে নিরক্ষর তাকে কেন্দ্র করে রচিত ও পরিবেশিত গানের মুগ্ধ শ্রোতা এখনো। যে জনতা নয় মাসের যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করেছে ১৫ আগস্টের পরে সেই দেশবাসীর প্রতি তার অকৃত্রিম দরদ টের পেয়েছিলেন সবাই। অসহায়, দুখী, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তাকে সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করতে হয়েছিল।
মূলত বঙ্গবন্ধুর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, তার অতি সাধারণ জীবনযাপন তাকে লেখকদের কাছে ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত করে। তিনি যদিও আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন কিন্তু বৃহত্তর অর্থে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। তার সম্পর্কে কিংবদন্তির প্রয়োজন ছিল না যদিও তাকে কেন্দ্র করে স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে নানান রহস্যময় ঘটনার প্রসঙ্গ। রাজা রাও, মুলক রাজ আনন্দ এবং আর কে নারায়ণের গল্প-উপন্যাসে গান্ধীকে যেমন কাহিনী বর্ণনায় নানা ঘটনা ও চরিত্রের বিচিত্র প্রকাশে তুলে ধরা হয়েছে। তেমনি বাংলা গল্প-উপন্যাস-কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে- বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শতাব্দী লালিত মূঢ়তা থেকে মুক্তির মন্ত্র। তার আন্দোলন ছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে, দেশের গুপ্ত কমিউনিস্ট সর্বহারাদের বিরুদ্ধে নয়। বরং সর্বহারারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিসেনাদের হত্যা করেছিল তার চিত্র রয়েছে অনেক গল্পে। সাধারণ মানুষকে অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করা ও ভালোবাসায় সবাইকে কাছে টানা ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বিশিষ্টতা। অপরাধ ও অপরাধীকে প্রশ্রয় না দেওয়া, সৎ ও নীতিপরায়ণ থাকা এবং ভন্ডামি না করা, মিথ্যা প্রতিশ্রম্নতি না দেওয়া, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা না করা তার সমগ্র জীবনের মুখ্য আদর্শ। বর্তমান বাংলা শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর সেই চেতনা ছড়িয়ে গেছে সর্বত্রই। মূলত তার চেতনার প্রভাব শতাব্দী থেকে শতাব্দী প্রসারিত হয়েছে এবং আগামীতে তা বহাল থাকবে।
বিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণের প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের অভু্যদয়ের প্রধান পুরুষ তিনি। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট মোচনে তার অবদান বিশ্বস্বীকৃত। পূর্বে একাধিকবার আমরা উলেস্নখ করেছি যে, বারবার কারাগারে আটক ছিলেন তিনি; রাজনীতিতে তাই মানবমুক্তিই তার আরাধ্য ছিল। স্বাধীনতাকামী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছিলেন। বাঙালির চেতনায়-মননে-জীবনে বঙ্গবন্ধু স্পন্দিত নাম। এই মহাপুরুষ ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার হলে মানুষ থমকে যায়, স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তারপর নিজের গোপন ব্যথা প্রকাশ করা শুরু করে। হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করে ঘাতকচক্র বাংলাদেশকে রসাতলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, পারেনি। কারণ এ দেশের মানুষের অন্তরে তখনও তিনি জাগ্রত, এখনো। তার কণ্ঠস্বর শাশ্বত ন্যায়ের গতিপথে বিকশিত। বঙ্গবন্ধু বাঙালির আপন ঘরের মানুষ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় তিনি পুণ্যাত্মা।
বস্তুত জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনিতে দেশপ্রেম ছিল তর্কাতীত। ঐকান্তিকতায় পূর্ণ ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসা, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্র করে তাকে শায়েস্তা করতে চেয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ তাকে জেল থেকে বের করে এনেছে। এমনকি ১৯৭০ সালে ইয়াহিয়া নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। জয়ী আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে সরাতে না পেরে সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাঙালি আবার তাকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনে। তিনি ১৯৭২ থেকে দেশের উন্নয়নে সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করেছেন। তার শাসনকালে সংবিধান প্রণীত হয়। '৭৫-এর দুঃসময় পরবর্তী তবু মানুষের ভালোবাসা প্রদর্শন থেমে থাকেনি। মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে তার নামে। সেই পাশবিক নৃশংসতায় প্রাণপুরুষ চির আরাধ্য কর্ণধারকে হারিয়েছি আমরা। শোষিত জনতার নেতা বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানা ও চেনার মধ্য দিয়ে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করা। অন্যদিকে প্রতিটি মানুষের চেতনায় স্বাধীনতার মর্মবাণী পৌঁছে দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের পাঠ্যসূচিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কোর্স চালু করা দরকার। উপরন্তু শিক্ষার প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্য করা হোক। 'মজিববর্ষে' বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিটি অনুষদে 'বঙ্গবন্ধু কোর্স' চালু করলে বাংলাদেশকে বুঝতে, জানতে ও উপলব্ধি করতে তা সহায়ক হবে।
লেখক: অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
নওগাঁ দর্পন- নওগাঁর ৪ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- আত্রাইয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা
- নওগাঁয় স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন সেমিনার
- পোরশায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিককে আর্থিক অনুদান প্রদান
- রাণীনগরে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- রাণীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা
- মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল আট বসতবাড়ি
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা:
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- পোরশায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ২০ জনের মনোনয়ন দাখিল
- নওগাঁয় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
- নিয়ামতপুরে দুইজনের লাশ উদ্ধার
- নওগাঁয় ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান
- আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
- নিয়ামতপুরে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল
- সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- কাতারের আমির ঢাকা আসছেন আজ, সই হচ্ছে ছয় চুক্তি পাঁচ স্মারক
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় ধানের বাম্পার ফলন
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- নওগাঁয় জেলায় এখন ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- নওগাঁ থেকে যশোর-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রোডে বাস চালু
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- নওগাঁবাসীর জন্য ১২০ পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- কবে সম্মানি ভাতা পাবেন মুক্তিযোদ্ধা শতবর্ষী বাঘা মাঝি’র!
- যে শোকে বাংলার ইতিহাস কাঁদে
- প্রেম-বিয়ে-খুন-মিন্নি এবং আমাদের বরগুনা
- Wazed Miah: An ever-shining lighthouse
- করোনা সঙ্কট: সম্মিলিত শৃঙ্খলায় আমাদের যুদ্ধ জয়
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- করোনাকালে আমার কিছু প্রশ্ন
- করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই
- অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
- ইতিহাসে আজকের এই দিনে
- করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর উৎপাদিত কিট ও কিছু সহজ প্রশ্ন
- ‘স্বল্পমূল্যে মিলাদ পড়ানো হয়’
- আষাঢ়ের গল্প
- ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছে না বিএনপি
- রোহিঙ্গারা ফুটবল, বাংলাদেশ খেলার মাঠ, চীন মূল খেলোয়াড়